মো: সাগর মল্লিক ফকিরহাট
শেখ হাসিনার সরকার পদত্যাগের দাবিতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জের নবম শ্রেনীর শিক্ষার্থী শাহরিয়ার হাসান আলভী(১৫) নিহত হয়েছেন।
গত ০৪ঠা আগস্ট রবিবার ঢাকার মিরপুর-১০ এ গুলিবিদ্ধ হন আলভী। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আলভীকে ঢাকার মিরপুরের আজমল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কিছু সময় পরেই শহীদ হন তিনি। নিহত আলভী বাগেরহাটের মেড়েলগঞ্জ উপজেলার বেতবুনিয়া গ্রামের মোঃ আবুল হাসানের ছেলে।
জানা যায়, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ঢাকার দেশ টেকনিক্যাল স্কুলের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী শাহরিয়ার হাসান আলভী মিরপুর-১০ এ শিক্ষার্থীদের সাথে আন্দোলন করছিলেন্। ০৪ঠা আগস্ট বিকাল ০৪ ঘটিকার সময় মিরপুরে পুলিশের ছোড়া বুলেট এসে লাগে আলভীর বুকে। রক্তাক্ত অবস্থায় আলভীকে উদ্ধার করে তার সহপাঠীরা নিয়ে যায় মিরপুরের আজমল হাসপাতালে। কিছুক্ষন পরেই বিকাল সাড়ে ৬টার দিকে আলভী মারা যান।
নিহত আলভীর পিতা মোঃ আবুল হাসান বলেন, আমি একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। আমার গ্রামের বাড়ি বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জে বর্তমানে পরিবার নিয়ে মিরপুর পল্লবীতে ভাড়া বাসায় থাকি। আলভী ছাড়াও আমার সাড়ে ৮ বছরের ছোট একটা মেয়ে আছে। আমার মেয়ে আলিফা তৃতীয় শ্রেনীতে পড়াশুনা করে। আমার ছেলে আলভী ঢাকার মিরপুরের আজমল হাসপাতালে নবম শ্রেনীর শিক্ষার্থী। ০৪ঠা আগস্ট প্রতিদিনের মত আমার ছেলে আলভী তার বন্ধুদের সাথে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যায়। দুপুর গড়িয়ে বিকাল, সন্ধ্যা হয়ে গেলেও আমার ছেলের কোন সন্ধ্যান পাই না। পরে তার সহপাঠীদের মাধ্যমে জানতে পারি আমার ছেলে পুলিশের গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছে।পরবর্তীতে তার সহপাঠীদের সহযোগীয় আমার ছেলের লাশ বাসায় আনা হয়। রাত ০৯টার দিকে ঢাকা মিরপুর তবলোক মসজিদের সামনে জানাজা শেষে কলশী কবরস্থানে আমার ছেলেকে দাফন করা হয়।
তিনি আরো বলেন, আমার ছেলে মৃত খবর শোনার পর থেকেই আমার স্ত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। নিজের একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে পাগল প্রায় অবস্থা। তার ছেলেকে যে পুলিশ হত্যা করেছে তার সুষ্ঠু তদন্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান এই সন্তানহারা অসহায় পিতা।