ফেমাস রহমান
নৃশংস রাজনৈতিক হত্যাযজ্ঞের ২০তম বার্ষিকী আজ। ২০০৪ সালের এইদিনে গ্রেনেড বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগ আয়োজিত সন্ত্রাস বিরোধী সমাবেশস্থল। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গ্রেনেড হামলা ও গুলিবর্ষণ করে ঘাতকেরা।
এ ঘটনায় ২৪ জন নেতাকর্মী নিহত হোন এবং আহত হোন পাঁচ শতাধিক। গ্রেনেড হামলার ২০ বছর হলেও আহতদের অনেকেই স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারেননি। রাজনৈতিক সমাবেশে এ ধরনের নারকীয় হত্যাযজ্ঞ এটিই পৃথিবীতে প্রথম এমন ধারণা অনেকের।
ওই দিন বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বিকাল ৪টায় সমাবেশের আয়োজন করে আওয়ামী লীগ। ৪টার আগেই কানায় কানায় ভরে ওঠে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে একটি খোলা ট্রাকে (ঢাকা মেট্টো-ট-১১-৩০৯৮) বানানো উন্মুক্ত মঞ্চে বক্তৃতা দিচ্ছিলেন দলের শীর্ষস্থানীয় নেতারা।
বিকাল ৫টার দিকে বুলেটপ্রুফ গাড়িতে সমাবেশস্থলে আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা শেখ হাসিনা। তিনি প্রায় ২০ মিনিট বক্তব্য দেন। বক্তৃতা শেষে বঙ্গবন্ধুকন্যা ট্রাকের সিড়ির দিকে এগোচ্ছেন নামার জন্য। ঘড়ির কাটায় ৫ :২২ মিনিট। কয়েকজন ফটোসাংবাদিক বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে ছবি তোলার জন্য দাড়াতে বলেন। মুহূর্তে ই দফায় দফায় গ্রেনেড বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে পুরো বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ জুড়ে।
হঠাৎ সমাবেশস্থলের দক্ষিণ দিক থেকে মঞ্চ লক্ষ্য করে ছোড়া হয় গ্রেনেড। সে সময়ে দলীয় নেতারা এবং শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত দেহরক্ষী তাৎক্ষণিকভাবে এক মানববলয় তৈরি করে শেখ হাসিনাকে গ্রেনেডের হাত থেকে রক্ষা করেন।