সামসুল হক জুয়েল,গাজীপুর প্রতিনিধি
গাজীপুরের কালীগঞ্জে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য মেহের আফরোজ চুমকিকে প্রধান করে ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন পলাশ চুমকির এপিএস মাজেদুর রহমান সেলিম সহ ১০৫ জনেকে আসামী করে হত্যাও মারধরের দায়ে কালীগঞ্জ থানায় দুইটি মামলা দায়ে করা হয়।
বুধবার (২১ আগষ্ট ২০২৪) দুপুরে কালীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান বাবলু বাদী হয় ৪০ জনকে আসামী করে ৪(৮)২৪ নং এবং বিকেলে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার শিকার ইসমাইল হোসেন বাদী হয়ে ৬৫ জনকে বিবাদী লরে কালীগঞ্জ থানায় ৫(৮)২৪ নং মামলা দায়ের করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান বাবলু অভিযোগ করেন যে, ২০১১ সালের ৭ই মে আওয়ামী লীগের প্রতিরোধ উপেক্ষ করে শীতলক্ষা নদীতে নৌকাযোগে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল(বিএনপি’র) সাবেক এমপি ফজলুল হক মিলনের বাড়িতে সমাবেশে যাওয়ার সময় চুমকির নির্দেশে তার বাহিনী নৌকায় হামলায় চালিয়ে বিএনপির দুই কর্মী জমির ও নাঈমকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যাসহ শতাধিক বিএনপি নেতা কর্মীদের আহত করে। এ সময় অনেকে জীবন বাচাঁতে সাঁতারকেটে নদী পাড় হয়ে পলাশ থানা এলাকায় আশ্রয় নেয়। সে সময় মামলা করার কোন সুযোগ ছিলনা বিধায় এখন মামলাটি করা হয় ।
অন্যদিকে চলতি বছরের গত ৪ আগষ্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা একাত্বতা পোষণ করে মিছিলে অংশ গ্রহন করলে তারা মিছিল করে কালীগঞ্জ বাইপাস সড়কের মোড়ল বাড়ি মোড়ে এলাকায় আসলে চুমকির র্নিদেশে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার মিছিলে বিবাদীগন ছুরি চাপাটি হকি স্টিক ও দেশীয় ও বিদেশী আগ্নে অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হামলা করে ও মারধর করে। এতে অনেকে গুরুতর আহত হয় এবং রাস্তায় ২টি মোটর সাইকেলে অগ্নীসংযোগ করে হামলাকারীরা। এ হামলায় আহত স্থানীয় উত্তরগাঁও গ্রামের মৃত কিছমত আলীর ছেলে ইসমাইল হোসেন বাদী হয়ে কালীগঞ্জ থানায় অন্য মামলাটি দায়ের করেন।
এ বিষয়ে কালীগঞ্জ থানার অফিনার ইনচার্জ মাহতাব উদ্দিন জানান, দুটি মামলা রুজু করা হয়েছে, আসামী গ্রেফতারের প্রক্রিয়া চলছে।