1. nabadhara@gmail.com : Nabadhara : Nabadhara ADMIN
  2. bayzidnews@gmail.com : Bayzid Saad : Bayzid Saad
  3. bayzid.bd255@gmail.com : Bayzid Saad : Bayzid Saad
  4. mehadi.news@gmail.com : MEHADI HASAN : MEHADI HASAN
  5. jmitsolution24@gmail.com : support :
  6. mejbasupto@gmail.com : Mejba Rahman : Mejba Rahman
রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ১০:০৪ পূর্বাহ্ন

তদারকির অভাবে বাগেরহাটের অধিকাংশ পিএসএফ অকেজো: পুকুরের পানিই ভরসা

সোহেল রানা বাবু, বাগেরহাট প্রতিনিধি
  • প্রকাশিতঃ সোমবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ১৪৮ জন নিউজটি পড়েছেন।

 সোহেল রানা বাবু ,বাগেরহাট প্রতিনিধি

জলবায়ু পরিবর্তন জনিত কারনে উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটে ভূগর্ভস্থ মিষ্টি পানির স্তর নেমে যাওয়া,লবণাক্ততা, আর্সেনিকের মাত্রা বেড়ে যাওয়া সহ নানা কারণে সুপেয় পানির তীব্র সংকট সৃষ্টি হয়েছে। সময় বদলের সাথে সাথে প্রকল্পের ধরণ বদল করে সরকারিভাবে জনগণের জন্য সুপেয় পানি সরবরাহের জন্য ভিন্ন ভিন্ন উদ্যোগ নেয়া হয়।

 

যার মধ্যে রয়েছে, অগভীর নলকূপ, গভীর নলকূপ, পিএসএফ, সোলার পিএসএফ।গাড়ীতে করে পানি সরবরাহ কার্যক্রম। এদিকে সুপেয় পানি সংকট মোকাবেলায় জেলায় বর্তমানে এক হাজার থেকে বাড়িয়ে তিন হাজার লিটার ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ ট্যাংকি বিতরণ করা হচ্ছে। বাগেরহাট জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সরকারী ভাবে ১৯৯২ সাল থেকে এই পর্যন্ত জেলায় ১৬ হাজার ৩৬১টি গভীর নলকূপ স্থাপন করা হয়। অগভীর নলকুপ স্থাপন করা হয় ১৪ হাজার ১২৬টি।

 

পিএসএফ স্থাপন করা হয় ২ হাজার ৭৯৯টি। তথ্যনুসন্ধানে জানা গেছে, উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটের লবনাক্ত এলাকাগুলোতে সুপেয় পানির সংকট মোকাবেলায় সরকারী ও বেসরকারী উদ্যেগে পুকুর পাড়ে তৈরি করা হয় পিএসএফ (পন্ড স্যান্ড ফিল্টার)। কিন্তু সঠিক তদারকীর অভাবে অধিকাংশ পিএসএফ অকেজো হয়ে গেছে। ফলে ওইসব এলাকার মানুষ সরাসরি পুকুরের পানি পান করতে বাধ্য হচ্ছে। যার ফলে এসব এলাকার প্রতিটি পরিবারের পেটের পীড়া নিত্যসঙ্গী হয়েছে। সরকারী হিসাবে জেলায় সরকারী ভাবে স্থাপন করা ২ হাজার ৭৯৯টি পিএসএফ এর মধ্যে চালু রয়েছে ১ হাজার ৪৭৩টি। কিন্তু বাস্তবের সাথে এর কোন মিল নেই। জেলায় সামান্য কিছু পিএসএফ এখনও চালু থাকলেও অধিকাংশ পিএসএফ দীর্ঘদিন ধরে অকেজো রয়েছে। কোথাও কোথা পিএসএফ এর ভিতর বড় বড় গাছ,ঘাস,লতাপাতা জন্ম নিয়েছে। কোথাও কোথাও এসব পিএসএফ এর পাশে নতুন বেসরকারী সংস্থার উদ্যেগে গড়ে তৈরি করা পানির ফিল্টারগুলোও জনসচেতনতার অভাবে অকেজো হয়ে পড়ে আছে।ফলে নিরুপায় হয়ে পুকুর থেকে তোলা অস্বাস্হ্যকর পানি দিয়ে জীবন বাঁচাচ্ছেন স্থানীয়রা। এদিকে এই পুকুরের পানি ভ্যান গাড়িতে করে সরবরাহ করা হচ্ছে বিভিন্ন গ্রামে। রামপালের ফুলপুকুরে পানি নিতে আসা শিবানি রানী জানান, এই পুকুরই এই অঞ্চলের মানুষের একমাত্র ভরসা। প্রায় ১ কিলোমিটার দুরের এই পুকুর থেকে পানি নিয়ে তারা বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করেন। এটা অনেক কষ্টের। পানির সমস্যা সমাধানের জন্য তিনি সরকারের প্রতি আহবান জানান। মোরেলগঞ্জের দৈবজ্ঞহাটি এলাকার ডাঃ মিজানুর রহমান ডিয়ার বলেন, দৈবজ্ঞহাটি কলেজ পুকুরে স্থাপন করা সরকারী পিএসএফটি এখন ভেঙ্গে প্রায় মাটির সাথে মিশে গেছে। তাই পানির ব্যাপক সংকট রয়েছে। ফলে এই এলাকার অনেক লোক প্রায়ই পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হয়। রামপালের পরিবেশবাদী নেতা এমএ সবুর রানা বলেন, যথাযথ সমীক্ষা না করে, সরকারের নেয়া পিএসএফ প্রকল্প মুখ থুবড়ে পড়েছে। হাতে গোনা দই একটি ছাড়া বেশিরভাগ পিএসএফ ও পানি শোধনাগার বন্ধ হয়ে গেছে। স্থায়ী ভাবে খাবার পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে।

 

 

এ বিষয়ে বাগেরহাট জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী জয়ন্ত মল্লিক বলেন, ‘সরকারী ভাবে বুঝিয়ে দেয়ার পর স্থানীয়রা এটির তত্ত্বাধায়ন করেন। তারা এটি সঠিক ভাবে ব্যবহার না করলে নস্ট হবে এটাই স্বাভাবিক। তবে তিনি দাবী করেন বেশিরভাগ পিএসএফ এখনও চালু রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved সর্বস্বত্বঃ দেশ হাসান
Design & Developed By : JM IT SOLUTION