শামীম শেখ, গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী)
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নিজ দলের দূর্নীতিবাজ ও ক্ষমতার অপব্যবহারকারী শীর্ষ নেতাদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন আওয়ামীলীগ নেতা গোলাম মাহবুব রাব্বানী।
গোয়ালন্দ পৌর আওয়ামী লীগের ফেসবুক আইডিতে গত রবিবার তিনি এ দাবির কথা তুলে ধরেন। এতে নিজের দলের নেতাকর্মী ছাড়াও বিভিন্ন মহলের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। অধিকাংশই তার বক্তব্যকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।
গত ৫ আগষ্টের পর থেকে যেখানে দলের অধিকাংশ নেতাকর্মী আত্মগোপনে গিয়ে নিশ্চুপ হয়ে গেছেন, সেখানে মাহবুব প্রতিনিয়ত বঙ্গবন্ধু, আওয়ামী লীগ, মুক্তি যুদ্ধের চেতনা, দলের জুলুমবাজ ও ক্ষমতার অপব্যবহারকারী এমনকি অন্তবর্তী কালীন সরকারের নানা কাজের বিরুদ্ধে সমালোচনা করে ফেসবুকে নানা ধরনের পোষ্ট দিয়ে ইতিমধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন।
মাহবুব গোয়ালন্দ পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি, গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি ছিলেন। তবে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাষনামলে তিনি দল হতে বহিষ্কার হয়ে দীর্ঘদিন ধরে পদ পদবি ও ক্ষমতার বাইরে ছিলেন।
তিনি রাজবাড়ী-১ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সাবেক এমপি ও সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলীর ঘনিষ্ঠ অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
ইতিমধ্যে তিনি রাজবাড়ী সদর উপজেলা ও গোয়ালন্দ উপজেলায় দায়ের হওয়া বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুইটি হামলা মামলায় দুইবার আদালতে আত্ম সমর্পণ করে কারাভোগ শেষে বর্তমানে জামিনে মুক্ত আছেন।
ফেসবুক পোষ্টে তিনি লিখেন, “আমার মত নাদানকে বারবার মামলা না দিয়ে( আমি তো ক্ষোপের মুরগি যখন ইচ্ছা তখনই)দলের নাম বিক্রি করে, দলের নাম ভাঙ্গিয়েদ লীয় পদ পদবীর প্রভাব প্রতিপত্তি দিয়ে যারা অবৈধভাবে মহাসম্পদ শালী প্রভাবশালী ক্ষমতাধর হিসেবে বিবেচিত ছিলেন।
তাদেরকে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানাচ্ছি ।”
প্রসঙ্গত, গত ১০ ডিসেম্বর গোয়ালন্দে বৈষম্য বিরোধী এক ছাত্রের মামলা দায়েরের পর হতে গোয়ালন্দ উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের অধিকাংশ শীর্ষ নেতা ও দলের জনপ্রতিনিধিরা আত্মগোপনে রয়েছেন।
ফেসবুক পোষ্টের বিষয়ে গোলাম মাহবুব রাব্বানী যুগান্তরকে বলেন, “শুধু বর্তমানে নয়, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়েও আমি স্হানীয়ভাবে দলের মধ্যে থাকা খুনি,চাঁদাবাজ ও ক্ষমতার অপব্যবহার কারীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলাম। তাদের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে মানববন্ধন, সাংবাদিক সম্মেলন সহ দলীয় ফোরামে বহুবার কথা বলেছি। যার জন্য দলের মধ্যে আমার শত্রুর সংখ্যাই বেশি ছিল। ২০১৬ সালে আমাকে দল থেকে বহিষ্কার পর্যন্ত করা হয়েছিল। আমি এ সবের পরোয়া করিনা। আমি মুজিব ভক্ত, আওয়ামী লীগের একজন ক্ষুদ্র নিবেদিত প্রান কর্মী। আমি আওয়ামী লীগকে পরিচ্ছন্নরুপে দেখতে চাই। এর জন্য প্রতিনিয়ত বলে যাব,লিখে যাব।”