শামীম শেখ, গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী)
আওয়ামী লীগ এই দেশে রাজনীতি করার অধিকার হারিয়েছে। তাদের পাপের পাল্লা এতটা ভারি হয়েছে যে শেখ হাসিনাকে দেশ থেকে পালিয়ে পাশ্ববর্তী দেশ ভারতে গিয়ে আশ্রয় নিতে হয়েছে।
আমাদের অসংখ্য নেতাকর্মী ওদের দ্বারা নানা ধরনের নির্যাতনের শিকার হয়েছি। হামলা-মামলার শিকার হয়েছি।
রাজবাড়ীতে আওয়ামী লীগের দুঃশাষন, দূর্ণিতীতে সাধারন মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল। তাদের এমপি কাজী কেরামত আলী ও তার ছোট ভাই কাজী ইরাদত আলী ও তাদের অনুসারী আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ নেতারা শান্তিপ্রিয় রাজবাড়ীকে অশান্ত করে তুলেছিল।
মহান আল্লাহ ওদের নিজ হাতে শাস্তি দিয়েছেন। তবে আমরা প্রতিহিংসা পরায়ন নয়, ওরা যে নোংরামি করেছে, জুলুম করেছে আমরা তা করতে চাই না।
আমাদের সামনে এখন অনেক কাজ। রাজবাড়ীকে নতুন করে গড়ে তুলতে হবে। দৌলতদিয়া-পাটুরিয়ায় পদ্মা সেতু নির্মাণ, দৌলতদিয়া ঘাট আধুনিকায়ন ও নৌ-বন্দর স্হাপন, নদী শাষন, বিশ্ব বিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজ স্হাপন সহ বহু উন্নয়ন মূলক কাজ করতে হবে। এ জন্য জাতীয়তাবাদী সকল শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করতে হবে। আগামী জাতীয় নির্বাচনে বিএনপিকে ক্ষমতায় আনতে হবে। দেশটাকে গড়ে তুলতে হবে।
রাজবাড়ী-১ আসনের সাবেক বিএনপি দলীয় এমপি ও বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারী ) বিকেল ৫ টায় গোয়ালন্দ শহীদ মহিউদ্দিন আনছার ক্লাব ময়দানে গোয়ালন্দ উপজেলা ও পৌর বিএনপি আয়োজিত জনসভায় তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন।
গোয়ালন্দ উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি ও উপজেলা কৃষক দলের সাবেক সভাপতি মো. রোস্তম মোল্লা জনসভায় সভাপতিত্ব করেন।
জনসভায় আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়াম আরো বলেন, আওয়ামীলীগ সরকার জনগণের ভোটাধিকার হরণ করেছিল। গনতন্ত্রকে হত্যা করেছিল। রাষ্ট্র কাঠামো পুনর্গঠন ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়নই এ সংকট হতে উত্তরনের একমাত্র পথ।
জনসভায় আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক গাজী আহসান হাবিব, জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক নঈম আনছারি, জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব অধ্যক্ষ মঞ্জরুল আলম দুলাল, জেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম, গোয়ালন্দ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সুলতান-নূর ইসলাম মুন্নু, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবলু, নাজিরুল ইসলাম তিতাস, গোয়ালন্দ উপজেলা যুবদলের আহবায়ক ফারুক দেওয়ান, উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি রেজাউল হাসান মিঠু, ছাড়াও জেলা ও উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।