শামীম শেখ, গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী)
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে দিনদুপুরে শিশু সন্তানের সামনে মাসুদ সরদার (৩০) নামে এক বাবাকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গুরুতর অবস্থায় তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত মাসুদ গোয়ালন্দ পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের এবাদ আলী মিস্ত্রি পাড়ার মোসলেম সরদারের ছেলে।
পুলিশ ও স্হানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল পৌনে ১০ দিকে মাসুদ রিক্সাযোগে তার ৪ বছর বয়সী ছেলে মাহিমকে নিয়ে গোয়ালন্দ বাজার হতে বাসস্ট্যান্ডের দিকে যাচ্ছিলেন।
পথিমধ্যে লোটাস কলেজিয়েট স্কুলের সামনে পৌছালে পেছন থেকে অটোরিকশা যোগে এসে নাজমুল, কবির, ইমরান রুকুসহ কয়েকজন মাসুদের গতিরোধ করে। এ সময় তারা মাসুদকে রাস্তার উপর ফেলে তার শিশু সন্তানের সামনেই ধারালো দিয়ে কোপাতে থাকে। এক পর্যায়ে মাসুদ রক্তাক্ত অবস্থায় দৌড়ে লোটাস কলেজিয়েট স্কুলের ভেতরে ঢুকে গেলে হামলাকারীরা ঘটনাস্থল থেকে পায়ে হেঁটে সরকারী গোয়ালন্দ কামরুল ইসলাম কলেজের সড়ক দিয়ে চলে যায়। প্রকাশ্য দিবালোকে এ হামলার ঘটনা ঘটলও ভয়ে কেউ দূবৃত্তদের কাছে ভিরতে পারেনি।
পরে স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় মাসুদকে উদ্ধার করে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। কিন্তু অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেখান থেকে তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
মাসুদের শাশুড়ি কুলসুম বেগম জানান, মাসুদ দৌলতদিয়া ঘাটে বাসে যাত্রী উঠানোর কাজ করে। হামলাকারীরাও একই কাজ করে। দুইদিন আগে মাত্র ৫০ টাকার ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে হামলাকারীরা মাসুদকে কোপানোর হুমকি দেয়। সেই ঘটনার জের ধরে তারা সত্যিই আজকে মাসুদকে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে এলোপাতাড়ি কোপায়।
মাসুদের ছোট ভাই সাইদুল জানায়, হামলায় তার ভাইয়ের গলার একটি রগসহ শরীরের বিভিন্ন স্হানে মারাত্মক জখম হয়েছে। বেলা সারে ৪ টা পর্যন্ত ৪ ব্যাগ রক্ত দেয়া হয়েছে। ৫ম ব্যাগ চলছিল। তখনও তার শরীর থেকে রক্ত ঝড়া বন্ধ হয়নি। অবস্থা খুবই খারাপ। রক্তের গ্রুপ বি-পজিটিভ।
তিনি আরো বলেন, তার ভাই নাজমুলের কাছে ৫০ টাকা পেত। সেই টাকা চাওয়া নিয়ে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। এই সামান্য বিষয় নিয়ে তারা আমার ভাইকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছিল।
আমরা এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার ও শাস্তি দাবি করছি।
এ বিষয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম বলেন, ঘটনার পরপরই তিনি ঘটনাস্থলে ছুটে যান। আমরা হামলার প্রকৃত কারণ উদঘাটন এবং অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছি।