হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর থানায় তেলিয়াপাড়ায় অবস্থিত “নিশান” স্বাস্থ্য ও পরিবেশ উন্নয়ন সোসাইটি নামক প্রতিষ্ঠানটি দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন গ্রাহকের নিকট হতে অধিক মুনাফার লোভ দেখিয়ে আমানত সংগ্রহ করে আসছিল।
প্রতিষ্ঠানটি প্রতি এক লক্ষ টাকায় ২,৫০০/-টাকা প্রতি মাসে লভ্যাংশ হিসেবে পাওয়া যাবে বলে গ্রাহকদের প্রলুদ্ধ করে। সহজ সরল গ্রাহক উক্ত প্রতিষ্ঠানের প্রলোভনে পড়ে বড় অংকের আর্থিক বিনিয়োগ করতে থাকেন।
প্রথমদিকে গ্রাহকদের লগ্নিকৃত অর্থের বিনিময়ে লভ্যাংশ দিয়ে আসতে থাকলেও সাম্প্রতিক সময়ে উক্ত প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যানসহ কর্মকর্তা কর্মচারীরা গ্রাহকের টাকা না দিয়ে আত্মগোপন করেছে বলে জানা যায়। মোঃ মঈন উদ্দিন, নিশান সোসাইটির নির্বাহী পরিচালক, তাহার সহোদর ভাই মোঃ জালাল উদ্দিন উক্ত প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান, মোঃ মঈন উদ্দিন এর স্ত্রী মোছাঃ আমেনা বেগম নিশান সোসাইটির ডেপুটি ডিরেক্টর, মোঃ মঈন উদ্দিন এর ছেলে আঃ জলিল সায়েম নিশান সোসাইটির এইচ আর ডিভিশন এর দায়িত্বে কর্মরত ছিলেন বলে জানা যায়। তাহারা এলাকার একাধিক মধ্যস্থতাকারী নিয়োগ করে গ্রহকদের টাকা বিনিয়োগে উৎসাহিত করতে থাকে। গ্রাহকদের বিপুল পরিমান অর্থ আত্মসাৎ করে বর্তমানে তারা অজ্ঞাত স্থানে আত্মগোপন করেছে।
মাধবপুর থানার তেলিয়াপাড়া, সুলতানপুর(উত্তর) সাকিনের বাসিন্দা মামলার বাদী স্বপ্না রানী রায় উক্ত প্রতিষ্ঠানের নিয়োজিত দালালদের দ্বারা প্রলোভনে পড়ে নিশান সোসাইটিতে ধাপে ধাপে মোট ১৮,০০,০০০/-(আঠার লক্ষ টাকা) বিনিয়োগ করেন। প্রথম দিকে তিনি লভ্যাংশের টাকা পেলেও একসময় উক্ত প্রতিষ্ঠান টাকা না দিয়ে নানান ধরনের টালবাহানা শুরু করে। দিনের পর দিন তিনি উক্ত প্রতিষ্ঠানের তেলিয়াপাড়াস্থ অফিসে যোগাযোগ করলেও তার বিনিয়োগকৃত মূল টাকা কিংবা লভ্যাংশের টাকা কোনটাই তিনি ফেরত পান নি। পরবর্তীতে তিনি বিজ্ঞ আদালতে উক্ত প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রতারনার মামলা করেন। মামলাটির দীর্ঘদিন তদন্ত শেষে পিবিআই, হবিগঞ্জ যথেষ্ট স্বাক্ষ্য প্রমাণ সংগ্রহ করে নিশান সোসাইটির প্রতারনার বিষয়ে সত্যতার প্রমাণ পায়। বিজ্ঞ আদালতে প্রতিবেদন প্রেরণ করা হবে।
কোনো গ্রাহকের ন্যায্য দাবির স্বপক্ষে কাগজ-পত্র সঠিক থাকলে তদন্ত সংস্থা পিবিআই এর আইনগত সহযোগিতা নিতে পারেন।