জেলা প্রতিনিধি, পিরোজপুর
পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়নে বিরোধের জেরে ইউপি সদস্য মো. শহিদুল ইসলাম হাওলাদার ও তার ভাবিকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
শুক্রবার দিবাগত রাত (২৮ জুন) ১২টার দিকে চন্ডিপুর ইউনিয়নে চরবলেশ্বর এলাকায় ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলামের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলামের স্ত্রী রেহানা বেগমকেও (৪০) কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। ইন্দুরকানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মারুফ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত শহিদুল ইসলাম উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক আহ্বায়ক বলে জানা গেছে।
শহিদুল ইসলাম চর বলেশ্বর এলাকার মৃত আসলাম হাওলাদারের ছেলে। আর নিহত মৌকলি বেগম (৪৮) শহিদুল ইসলামের ভাই মর্তুজা হাওলাদারের স্ত্রী।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, রাত ১২টার দিকে শহিদুলের বাড়িতে ডাক চিৎকার শব্দ শুনে আশপাশের লোকজন এসে দেখে শহিদুল ইসলাম ও তার ভাবিকে পুকুর পাড়ে কুপিয়ে ফেলে রাখা হয়েছে। তার স্ত্রী রেহেনা বেগমকেও কুপিয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় ফেলে রেখে গেছে দুর্বৃত্তরা। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
গুরুতর আহত রেহেনা বেগম জানান, রাতে হঠাৎ করে পার্শ্ববর্তী ইউনুসসহ আরও ৪-৫ জন তাদের বাড়িতে এসে অতর্কিত হামলা করে তার স্বামী এবং ভাবিকে কুপিয়ে মেরে ফেলে। এরপর তাকেও মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করে। ইউনুসের সঙ্গে তাদের দীর্ঘদিনের পারিবারিক বিরোধ চলে আসছিল বলেও জানান তিনি।
ইন্দুরকানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মারুফ হোসেন বলেন, “ধারণা করা হচ্ছে পরকীয়ার জেরে এ ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান তিনি।”