মোল্লাহাট(বাগেরহাট)প্রতিনিধিঃ

বাগেরহাটের মোল্লাহাটে মামার কাছে পাওনা টাকা পেতে ভাগ্নেকে আটকে রেখে মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগে উঠেছে। এ ঘটনায় জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন পেয়ে মোল্লাহাট থানা পুলিশ আটকে রাখা দুই ব্যক্তিকে উদ্ধার করেছে।
উদ্ধারকৃতরা হলেন- বাগেরহাটের রামপাল উপজেলা ভেকটমারি এলাকার মো. সাগর শেখ ও শুভ্রদেব রায়।

আজ দুপুরে মোল্লাহাট উপজেলার নগরকান্দি গ্রামের একটি মৎস্য ঘেরের ঘর থেকে পুলিশ ওই দুজনকে উদ্ধার করে। পরে সাগর শেখ বাদি হয়ে মুক্তিপণ চেয়ে অপহরনের অভিযোগে থানায় ৩ জনের নামে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
অভিযুক্তরা হলেন – মোল্লাহাট উপজেলার নগরকান্দি গ্রামে ইসমাইল কাজী, নুন্দু কাজী ও ভেদুল কাজী।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, বাদি সাগর শেখের মামা শুকুর আলী একটি মামলায় কারাগারে থাকার সময় মোল্লাহাটের ইসমাইল কাজীর সাথে পরিচয় হয়। করাগারের তাদের মাঝে বন্ধুত্ব হয়। সেই সূত্রে তাদের একে অপরের বাড়িতে যাতায়াত ছিল। কয়েক মাস আগে শুকুর ইসমাইলের কাছ থেকে কিছু টাকা ও একটি মেমোরি কার্ড নেয়। পরে ওই টাকা ফেরত দিচ্ছিল না। বৃহস্পতিবার রাতে শুকুরের ভাগনে সাগর তার এক বন্ধুকে নিয়ে ইসমাইলদের বাড়িতে বেড়াতে আসে। সকালে তাদের নিয়ে ঘুরতে বেরিয়ে ইসমাইল ওই দুজনকে পার্শবর্তি একটি মৎস্য ঘের আটকে রেখে তার সাগরের মামাকে ফোন করে মুক্তিপন দাবি করে। তারা আমাদের আটকে রেখে কাছ থাকা ৬ হাজার টাকা ও দুটি ফোন ছিনিয়ে নেয়।

তবে ইসমাইল কাজী মুঠোফোনে দাবি করেন, তিনি কোন মুক্তিপন চাননি। পাওনা টাকা চেয়ে ফোনে বলেন।

মোল্লাহাট থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আহাদ আহম্মেদ নবধারা কে বলেন, ৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে আমরা ওই দুজনকে উদ্ধার করি। এ ঘটনায় সাগর বাদি হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। আমরা তদন্ত করে এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নিব।