Nabadhara
ঢাকামঙ্গলবার , ১৪ অক্টোবর ২০২৫
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. ইতিহাস
  5. কৃষি
  6. খুলনা বিভাগ
  7. খেলাধুলা
  8. চট্টগ্রাম বিভাগ
  9. জাতীয়
  10. জেলার সংবাদ
  11. ঢাকা বিভাগ
  12. তথ্যপ্রযুক্তি
  13. ধর্ম
  14. প্রধান সংবাদ
  15. ফিচার
আজকের সর্বশেষ সবখবর

চোর ঘুরছে প্রকাশ্যে মামলা নেয়নি বাকেরগঞ্জ থানা

বাকেরগঞ্জ (বরিশাল )প্রতিনিধি
অক্টোবর ১৪, ২০২৫ ৯:১৪ অপরাহ্ণ
Link Copied!

বাকেরগঞ্জ (বরিশাল )প্রতিনিধি

চোর বাচাঁতে মানববন্ধন করায় উপজেলা জুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এমন ঘটনায় এলাকার মানুষ চুরির আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে। ভয়ে আছে মামলার বাদি। চোর গ্রেফতার না করে তামাসা দেখছে থানা পুলিশ বলছেন এলাকাবাসি। এমন ঘটনাটি বাকেরগঞ্জ উপজেলার রঙ্গশ্রী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের বিহারিপুর-বোতরা বাজার ঘটেছে।

এলাকাবাসি সুত্রে জানা যায়, গত ১৪ সেপ্টেম্বর রাতে বোতরা বাজারের নুরুল আমীন কাজীর দোকান (কাজী বস্ত্রালয় এন্ড টেইলার্স) ঘরের মালামাল ও নগদ অর্থ চুরি হয়। দোকান মালিকের ভাই সাহিদুল ইসলাম সকালে দোকান খুলে মালামাল এলোমেলো দেখে চুরি হয়েছে বুঝতে পেরে পার্শ্ববর্তী দোকান মালিক ও উপস্থিত লোকদের ডেকে দেখায়। একই রাতে পার্শ্ববর্তী বেল্লাল হোসেনের চা এর দোকান চুরি হয়। সেখান থেকে নগদ টাকা ও সিগারেট চুরি হয়। দোকান মালিক ও এলাকাবাসি চোরের সন্ধান ও চোর ধরার জন্য বিভিন্নভাবে খোঁজ লাগায়।

এলাকাবাসি বিভিন্ন তথ্য উপাত্তের মাধ্যমে জানতে পারে বিহারিপুর গ্রামের নাসির মৃধার ছেলে শান্ত মৃধা চুরি করা মালামাল বস্তা ভরে পার্শ্ববর্তী এক লোকের অটোগাড়িতে করে নিয়ে। পার্শ্ববর্তী গ্রামের আর্শাব আলী হাওলাদারের ছেলে অটো চাকল ইমরান জানায়, সকালে তার গাড়িতে করে দুটি প্লাস্টিকের বস্তা নিয়ে শান্ত ঢাকা জাবে বলে জানালে আমি বাকেরগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে নামিয়ে দেই।

একই এলাকার হানিফ হাওলাদারের কন্যা রুমা বেগম ঢাকার শ্যামপুরে বসবাস করেন। তিনি তার পরিবারকে জানায়, নাসির মৃধার পুত্র শান্ত মৃধা কিছু লুঙ্গি পাঞ্জাবি বিক্রি করার আমার বাসায় আসে। রুমা লুঙ্গি পাঞ্জাবী কিনবো না বলে জানালে শান্ত বস্তাভর্তি মালামাল নিয়ে চলে যায়। এ থেকে শিওর হয় দোকান ঘর নাসির মৃধার ছেলে শান্ত মৃধা চুরি করেছে।

বিষয়টি জানাজানি হলে, নাসির মৃধা তার ভাই বশির মৃধা সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি বর্গের মধ্যস্ততায় স্থানীয়ভাবে ১৬ সেপ্টেম্বর সকালে মিমাংশার জন্য বসে। বোতরা বাজারে মিমাংশার জন্য স্থানীয় মেম্বার সোলায়মান মৃধা, হিরু মৃধা, বাবুল শিকদার, বাদল মৃধা, মিন্টু মৃধা, ফরিদ মৃধা, আব্দুলা আল হাদিসহ আরও বহু লোক উপস্থিত ছিলেন।

শান্ত মৃধা পলাতক থাকায় তার পক্ষে পিতা নাসির মৃধা, চাচা বশির মৃধা, খালু দুলাল মৃধা উপস্থিত ছিলেন।

একাধিক শালিশিদারের সঙ্গে কথা বললে তারা জানায়, এই বাজারে এর আগেও বহু দোকান চুরি হয়েছে। তার সাথে শান্ত জড়িত থাকায় বহুবার জরিমানা দিয়েছে। নুরুল আমিন কাজীর দোকান চুরি হওয়া মালামালের মূল্য বাবদ দোকান মালিক মোট ৩ লক্ষ ৭২ হাজার টাকা দাবী করেন। শালিশগন সকলের মতামতের ভিত্তিতে দুই লক্ষ টাকা দায় ধারা করেন। ইহাতে শান্ত মৃধার পিতা নাসির মৃধা আপিল করলে শালিশগণ ১ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা শান্ত ও তার পরিবারকে জরিমানা স্বরুপ দিতে বলেন। শান্তর পিতা নাসির মৃধা উক্ত জরিমানা মানিয়া যায়। এসময় শান্তর চাচা বশির মৃধা ও খালু দুলাল মৃধা উপস্থিত ছিলেন। জরিমানার টাকা ২৩ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার এক লক্ষ টাকা ও বাকি ৭৫ জাহার টাকা পরবর্তী ৩০ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার দেওয়ার কথা স্বিকার করার মাধ্যমে শালিশ শেষ করেন।

এলকাবাসি ও স্থানীয় একাধিক দোকানদার জানায় এতপূর্বে একাধিক দোকান চুরির অপরাধে শান্ত ও তার ভাই ইমরান জরিমানা দেয়।

চুরির জরিমানার টাকা দেওয়ার সময় হইলে শান্তর পিতা নাসির মৃধা টাকা দিতে অস্বিকার করে। ইহাতে শালিশগণ ও ভুক্তভুগি দোকানদার ক্ষিপ্ত হয়। পরবর্তীতে শালিশগণের পরামর্শে দোকানদার বাকেরগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে থানার এএসআই ফারুক ও এসআই আবুল কালাম ঘটনার তদন্ত করেন এবং সত্যতা পান।

দোকান মালিক নুরুল আমিন কাজী বলেন, আমার অভিযোগের ভিত্তিতে এএসআই ফারুক ও এসআই আবুল কালাম তদন্ত শেষ করে আমাকে নিয়া অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম এর রুমে যায়। আমার সামনে চুরির সত্যতা পাওয়া গেছে বলে অফিসার ইনচার্জকে জানায়। অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ আমাকে একদিন পরে আসতে বলেন। আমি পরের দিন গেলে অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ আমাকে জানায়, বাকেরগঞ্জ থানায় মামলা নেওয়া যাবে না। বরিশাল আদালতে মামলা দায়ের করার জন্য আমাকে পরামর্শ দেন।

অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ এর কাছে মামলা না নেওয়ার বিষয়ে বরিশাল আদালতে মামলা দেওয়ার পরামর্শের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কথা এড়িয়ে গিয়ে বলেন, অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা কালামের সাথে কথা বলেন। বাদি বরিশাল আদালতে মামলা করলেও তার তদন্ত করে সত্য প্রতিবেদন দেওয়া হবে।

এসআই আবুল কালামের সাথে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা না। তদন্তকারী কর্মকর্তার এএসআই ফারুক সাহেব। আপনি তার বিষয়ে যোগাযোগ করেন।

অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা এএসআই ফারুক বলেন, আমি মামলার তদন্ত করে যা সত্যতা পেয়ে ওসি স্যারকে জানিয়েছি। তদন্তের পরে মামলা নেওয়ার বিষয়ে অফিসার ইনচার্জ বলতে পারবেন কেন মামলা নেয়নি।

চুরির মামলা থানায় না নেওয়া প্রসঙ্গে বরিশাল পুলিশ সুপারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপনি বাদিকে থানায় পাঠান আমি বলে দিচ্ছি

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।