সাইফুল ইসলাম, বাবুগঞ্জ (বরিশাল) প্রতিনিধি
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ-মুলাদী) আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে নতুন প্রাণচাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। তৃণমূল পর্যায়ে বর্তমানে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় রয়েছেন দুই সম্ভাব্য প্রার্থী— তরুণ আইনজীবী নেতা ব্যারিস্টার মনিরুজ্জামান আসাদ এবং অভিজ্ঞ রাজনীতিক আব্দুস ছত্তার খান।
এই দুই নেতার নেতৃত্বগুণ, জনসম্পৃক্ততা ও রাজনৈতিক কর্মকৌশল স্থানীয় বিএনপি অঙ্গনে এক নতুন সমীকরণ সৃষ্টি করেছে বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন।
বিএনপির কেন্দ্রীয় পর্যায়েও এ আসনে দুই হেভিওয়েট নেতা— জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান ও দলের ভাইস-চেয়ারম্যান, সুপ্রিম কোর্টের প্রবীণ আইনজীবী অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন— মনোনয়নের দৌড়ে আছেন। তবে স্থানীয় পর্যায়ে ব্যারিস্টার আসাদের তৎপরতা ও তরুণ নেতৃত্বের উচ্ছ্বাস তাকে এগিয়ে রাখছে বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে।
ব্যারিস্টার আসাদ বর্তমানে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সহ-সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বাবুগঞ্জ-মুলাদী অঞ্চলে নিয়মিত জনসংযোগ, সামাজিক কার্যক্রম এবং তরুণ প্রজন্মের সম্পৃক্ততা বাড়িয়ে তৃণমূলে আলোচনায় এসেছেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বরিশাল-৩ আসনে দীর্ঘদিন ধরে নতুন নেতৃত্বের প্রতীক্ষা রয়েছে। শিক্ষিত, প্রগতিশীল ও তরুণ নেতৃত্ব সেই প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটাতে পারে।
অন্যদিকে, একই আসনে আরেক শক্তিশালী মনোনয়নপ্রত্যাশী আব্দুস ছত্তার খানও সমানভাবে আলোচনায় রয়েছেন। তিনি বরিশাল উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য এবং সাবেক মুলাদী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন।
রাজনীতির পাশাপাশি শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও মানবিক কর্মকাণ্ডে দীর্ঘদিন ধরে যুক্ত আ. ছত্তার খান। বিশেষ করে করোনা মহামারি ও বন্যার সময় তাঁর ত্রাণ ও চিকিৎসা সহায়তা কার্যক্রম সাধারণ মানুষের হৃদয়ে গভীর দাগ ফেলেছিল।
স্থানীয়রা জানান, তিনি দলীয় পরিচয়ের ঊর্ধ্বে উঠে মানুষের পাশে থাকেন। মুলাদীর এক প্রবীণ শিক্ষক বলেন, “ছত্তার খান সংগঠনের ঐক্যের প্রতীক; দলমত নির্বিশেষে সবার সঙ্গে সম্পর্ক রাখেন।”
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বরিশাল-৩ আসনে বিএনপির মনোনয়ন দৌড়ে আ. ছত্তার খান ও ব্যারিস্টার আসাদ— দুজনই শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আবির্ভূত হবেন। একদিকে অভিজ্ঞ নেতৃত্ব, অন্যদিকে তরুণ নেতৃত্ব— এই দুই প্রজন্মের সংমিশ্রণ বিএনপির রাজনীতিতে নতুন বার্তা আনতে পারে।
তৃণমূল নেতাকর্মীরা বলছেন, বরিশাল-৩ আসনের রাজনীতি এখন নতুন গতিপথে; যেখানে অভিজ্ঞতা ও তারুণ্যের প্রতিযোগিতা— উভয়ই দলীয় গতিশীলতার প্রতীক হয়ে উঠেছে।