তাপস কুমার মজুমদার, স্টাফ রিপোর্টার, ভোলা
সীমান্ত রক্ষার দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নিহত বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্য নায়েক মো. আক্তার হোসেন মরদেহ ভোলার দৌলতখানের গ্ৰামের বাড়িতে দাফন সম্পন্ন হয়েছে। আজ শনিবার দুপুরে জানাযা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
এর আগে কক্সবাজার ব্যাটালিয়ন-৩৪ বিজিবি সদস্য আক্তার হোসেন শুক্রবার দুপুরে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
শনিবার সকালে বিজিবির একটি দল হেলিকপ্টারযোগে তার মরদেহ ভোলার দৌলতখান পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের নিজ গ্রামে নিয়ে আসে। পরে পূর্ণ সামরিক মর্যাদায় পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
নিহত নায়েক আক্তার হোসেন দৌলতখান পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা, বিজিবির অবসরপ্রাপ্ত হাবিলদার আব্দুল মান্নান মিয়ার ছেলে। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৪৫ বছর। তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে, এক মেয়ে ও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
বিজিবি সূত্রে জানা যায়, গত ১২ অক্টোবর কক্সবাজারের পেয়ারাবুনিয়া সীমান্ত এলাকায় টহলরত অবস্থায় মাইন বিস্ফোরণে গুরুতর আহত হন নায়েক আক্তার। পরে তাকে রামু সিএমএইচে নেওয়া হয় এবং প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে হেলিকপ্টারে করে ঢাকা সিএমএইচে পাঠানো হয়। শুক্রবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হঠাৎ হার্ট অ্যাটাক হলে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
নায়েক আক্তার হোসেনের মৃত্যুতে বিজিবির পক্ষ থেকে শোকার্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা জ্ঞাপন করা হয়।
এ বিষয়ে কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের (৩৪ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এস এম খায়রুল আলম (পিএসসি) বলেন, দেশের সীমান্ত সুরক্ষার দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আমরা এক সাহসী সহযোদ্ধাকে হারালাম। নায়েক আক্তার হোসেনের আত্মত্যাগ আমাদের অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে। বিজিবির এ কর্মকর্তা শোক প্রকাশ করে আরও বলেন, শহীদ নায়েক আক্তার হোসেন দেশের জন্য আত্মোৎসর্গের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তার আত্মার মাগফিরাত ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানানো হয়।

