ঝালকাঠি প্রতিনিধি
ঝালকাঠিতে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের র্যালি ও পথসভা নানা বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে শুক্রবার বিকেলে ঝালকাঠি প্রেসক্লাবের সামনে জেলা বিএনপি আয়োজিত পথসভায় দলের প্রাথমিক মনোনয়নপ্রাপ্ত সংসদ সদস্য প্রার্থী ইসরাত সুলতানা ইলেন ভুট্টোর বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা ও বিষোদ্গার করেন জেলা ও কেন্দ্রীয় বিএনপির একাধিক নেতৃবৃন্দ।
আলোচনা সভায় বক্তারা ৭ নভেম্বরের ঐতিহাসিক তাৎপর্য না তুলে ব্যক্তিগত আক্রমণ ও দলীয় মনোনয়ন বঞ্চনার ক্ষোভ প্রকাশে বেশি মনোযোগ দেন। তারা অভিযোগ করেন, দলের মনোনীত প্রার্থী অতীতে নেতাকর্মীদের পাশে ছিলেন না বরং ঢাকায় আয়েসী জীবন যাপন করেছেন।
সভায় বক্তৃতা দিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় মহিলা দলের সহ-সভাপতি ও কেন্দ্রীয় বিএনপি নির্বাহী কমিটির সদস্য জীবা আমিনা আল গাজী বলেন, আমরা কেন্দ্রের কাছে অনুরোধ করছি, যারা অতীতে নেতাকর্মীদের উপর অত্যাচার করেছে, তাদের যেন আমাদের মাথার উপর চাপিয়ে না দেওয়া হয়। যারা ২০০১ থেকে ২০০৫ পর্যন্ত বিভিন্ন খাত থেকে দশ পার্সেন্ট করে নিয়েছে, তাদের কোনো ঠাঁই বিএনপিতে হতে পারে না।
একই সুরে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট শাহাদাত হোসেন বলেন, বিগত ১৯ বছর যারা দলের পাশে ছিল না, তৃণমূলের খোঁজ নেয়নি, আমরা তাদের নেতৃত্ব মেনে নিতে পারি না। বিএনপি পরিবার হিসেবে আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকতে চাই, তবে অনৈতিক ও স্বার্থপর রাজনীতির স্থান এই দলে নেই।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সৈয়দ হোসেনসহ সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি এজাজ হাসানসহ স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা।
সভা শেষে একটি সংক্ষিপ্ত র্যালি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। তবে পুরো অনুষ্ঠানজুড়ে বিপ্লব ও সংহতি দিবসের মূল ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটের পরিবর্তে মনোনয়ন ও দলীয় দ্বন্দ্বের আলোচনাই প্রধান হয়ে ওঠে।
স্থানীয় রাজনৈতিক মহল মনে করছে, বিএনপির এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলটির তৃণমূল ঐক্যে প্রভাব ফেলতে পারে।

