পিরোজপুর প্রতিনিধি
পিরোজপুরে ডাকাতির সময় গণপিটুনিতে এক ডাকাতের মৃত্যু হয়েছে।
রোববার (২৩.১১.২৫ ) দিবাগত রাত ১টা ৩০ মিনিটের দিকে সদর উপজেলার ৩নং দুর্গাপুর ইউনিয়নের পশ্চিম দুর্গাপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় একজন আহত হয়েছেন।
পিরোজপুর সদর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোল্লা রমিজ জাহান জুম্মা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহতের বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়নি। তবে আটককৃত সবুজ হাওলাদারের (৫৫) বাড়ি বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার দেহেরগতি গ্রামে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতরাত ১টা ৩০ মিনিটের দিকে সদর উপজেলার ৩ নম্বর দুর্গাপুর ইউনিয়নের পশ্চিম দুর্গাপুর গ্রামের অনুকূল রায়ের বাড়িতে দেশীয় অস্ত্রধারী ৬ থেকে ৭ জনের এক ডাকাত দল প্রবেশ করে। ডাকাতরা ঘরের বাইরে অবস্থানরত লোকজনকে অস্ত্রের মুখে ভয় দেখিয়ে দরজা খুলে দিতে বাধ্য করে। পরে গৃহকর্তা বাধ্য হয়ে দরজা খুলে দেন। ঘরে ঢুকেই তারা অনুকূল রায়ের পরিবারের অন্যান্য সদস্যকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে এবং তার কন্যা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা রিঙ্কু রায়কে মাথায় আঘাত করে আহত করে। ডাকাত দল ঘর থেকে আনুমানিক ৫ ভরি সোনা, ৮ ভরি রুপা, একটি এন্ড্রয়েড মোবাইল ফোন ও নগদ ১৩ হাজার ৫০০ টাকা লুট করে দ্রুত পালানোর চেষ্টা করে।
এ সময় পরিবারের সদস্যদের ডাকচিৎকারে আশপাশের গ্রামবাসী এগিয়ে এসে ডাকাত দলের দুই সদস্যকে আটক করতে সক্ষম হয়। বাকিরা পালিয়ে যায়। এসময় উত্তেজিত জনতা আটক ডাকাতদের গণপিটুনি দিলে তারা গুরুতর আহত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহত দু’জনকে উদ্ধার করে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক একজন ডাকাতকে মৃত ঘোষণা করেন এবং অপরজনকে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
পিরোজপুর সদর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোল্লা রমিজ জাহান জুম্মা বলেন,”রাত আড়াইটার দিকে খবর পেয়ে পিরোজপুর সদর থানার উপ-পরিদর্শক রাধা রমনের নেতৃত্বে থাকা পুলিশের একটি টহল টিম পশ্চিম দূর্গাপুর গ্রাম থেকে আহত অবস্থায় দুইজনকে উদ্ধার করে পিরোজপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক একজনকে মৃত বলে ঘোষণা করে। বাকিরা পালিয়ে গেছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।”

