Nabadhara
ঢাকাসোমবার , ২২ ডিসেম্বর ২০২৫
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. ইতিহাস
  5. কৃষি
  6. খুলনা বিভাগ
  7. খেলাধুলা
  8. চট্টগ্রাম বিভাগ
  9. জাতীয়
  10. জেলার সংবাদ
  11. ঢাকা বিভাগ
  12. তথ্যপ্রযুক্তি
  13. ধর্ম
  14. প্রধান সংবাদ
  15. ফিচার
আজকের সর্বশেষ সবখবর

তজুমদ্দিনে বেড়িবাঁধ প্রকল্পে উচ্ছেদের শঙ্কা,ক্ষতিপূরণ ছাড়া কাজের প্রতিবাদে মানববন্ধন

স্টাফ রিপোর্টার,ভোলা
ডিসেম্বর ২২, ২০২৫ ৪:২৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

স্টাফ রিপোর্টার,ভোলা

ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বেড়িবাঁধ নির্মাণের নামে নেওয়া একটি বিলাসিতা প্রকল্পের কারণে বেড়িবাঁধ এলাকার পাঁচ শতাধিক পরিবার উচ্ছেদ হয়ে উদ্বাস্তু শিবিরে যুক্ত হওয়ার শঙ্কায় রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে কোনো ক্ষতিপূরণ না দিয়ে জোরপূর্বক কাজ বাস্তবায়নের চেষ্টা করলে এলাকাবাসী গত ১২ ডিসেম্বর কাজ বন্ধ করে দেয় এবং ১৯ ডিসেম্বর মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালে নির্মিত বেড়িবাঁধটি ছিল টেকসই। তবে সেটিকে পাশ কাটিয়ে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে পানি উন্নয়ন বোর্ড পতিত সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী একটি নতুন বিলাসিতা প্রকল্প গ্রহণ করে। ৭৪ কোটি ১৭ লাখ ৩৬ হাজার ৪৫৭ দশমিক ৩১ টাকা ব্যয়ে ‘উপকূলীয় বাঁধ পুনর্বাসন, নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন ও জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন’ প্রকল্পের আওতায় দুই কিলোমিটার বেড়িবাঁধ নির্মাণের কাজ পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স গোলাম রব্বানী কনস্ট্রাকশন। প্রকল্পটি ২০২৬ সালের জুন মাসে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত মাত্র ২০ থেকে ৩০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

চুক্তি অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ে কাজ না করে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ২০২৫ সালের নভেম্বর মাসে এসে তড়িঘড়ি করে মাটি কাটার কাজ শুরু করে। এতে বেড়িবাঁধ এলাকার প্রায় পাঁচ শতাধিক পরিবারের বসতঘর, ফসলি জমি, সুপারি বাগানসহ বিভিন্ন গাছপালা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ক্ষতিপূরণ না দিয়েই কাজ চালানোর চেষ্টা করায় উদ্বাস্তু হওয়ার আশঙ্কায় এলাকাবাসী ১২ ডিসেম্বর কাজ বন্ধ করে দেয়।

এর প্রতিবাদে ১৯ ডিসেম্বর শুক্রবার দুপুরে হাজিকান্দি, দালালকান্দি, মাওলানাকান্দি ও ভূইয়াকান্দি এলাকার কয়েক শত মানুষ বেড়িবাঁধের ওপর মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেন। তারা বেড়িবাঁধটি বর্তমান অবস্থান থেকে ৫ থেকে ১০ মিটার পূর্বদিকে সরিয়ে নেওয়া অথবা ক্ষতিগ্রস্তদের যথাযথ ক্ষতিপূরণের দাবি জানান।

ক্ষতিগ্রস্ত মো. শাহিন, সাত্তার, সোহেল, ফরিদ, মো. হাসান, নবী মাঝি ও জাহাঙ্গীর পিটারসহ একাধিক ব্যক্তি বলেন, “২০১৮ সালে নির্মিত বেড়িবাঁধটিই আমাদের জন্য টেকসই ছিল। এখন বেড়িবাঁধের নামে যে প্রকল্প নেওয়া হয়েছে, তা বিলাসিতা ছাড়া কিছু নয়। এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে আমাদের পাঁচ শতাধিক পরিবার উচ্ছেদ হয়ে উদ্বাস্তু শিবিরে যেতে বাধ্য হবে। বেড়িবাঁধটি একটু সরিয়ে নিলে আমরা এই বিপদ থেকে রক্ষা পাব।”

এ বিষয়ে বেড়িবাঁধের কাজ তদারকিতে থাকা পাউবোর উপসহকারী প্রকৌশলী তারভীর হোসেন রাসেল বলেন, “এই প্রকল্পে জমি অধিগ্রহণের জন্য কোনো বরাদ্দ নেই। ফলে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সুযোগ নেই। কাজ বন্ধের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।