শফিকুল ইসলাম সাফা, চিতলমারীঃ
সারাদিন কায়িক পরিশ্রম শেষে এখন আর ফুটপাত বা অন্যের ঘরে ফিরতে হবেনা। ভূমিহীন ও গৃহহীন হতদরিদ্্র ভানুমতি মতি বেগম এখন প্রতিদিন ফিরতে পারবেন নিজ ঘরে। শুধু ঘরই নয় , থাকছে নিজ নামে দুই শতক জমি, স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট, সুন্দর নান্দনিকতা বারান্দাসহ বসবাসের নিরাপদ সুবিধা।ভানুমতির মতো ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারগুলো পাচ্ছেন জাতির পিতার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার স্বপ্নের বাড়ি। চিতলমারী উপজেলায় ৪৪১ ঠিকানা হীন পরিবার পর্যায়ে ক্রমে পাবেন স্বপ্নের নীড়।
আগামী (২৬ এপ্রিল) মঙ্গল বার সকাল সাড়ে ১০টায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে চিতলমারী উপজেলাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা, উপজেলায় এসকল পরিবারের মধ্যে নান্দনিক বাড়ি হস্তন্তর করবেন মুজিব কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।মুিজব শতবর্ষ উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের ভূমিহীন পরিবারদের বিনা টাকায় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষনা অনুযায়ী সারাদেশের মতো চিতলমারীতেও আশ্রয়ণ প্রকল্প -২ এর আওতায় ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মধ্যে নতুন ঘর উপহার হচ্ছে। প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে ৬৭টি পরিবারকে দেওয়া হয়েছে দৃষ্টিনন্দন এসব নতুন বাড়ি। আগামী ২৬ এপ্রিল হস্তন্তর করা হবে আরোও ২৮টি নান্দনিক ঘর। নতুন ঘর পাওয়া এসব ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষগুলোর চোখে মুখে এখন অনাবিল স্বপ্ন।
উপজেলার শিবপুর গ্রামের ভুমিহীন ভানুমতি বেগম চোখে আনন্দ অশ্রæর বান। ঘর পেয়ে কেমন লাগছে , জিজ্ঞেস করলে ভানুমতি বেগম বলেন, স্বপ্নেও ভাবতে পারিনি যে, আমি জমিসহ ইটের একখানা নতুন ঘর পাবো। শেখ হাসিনার সরকার আমাকে ইটের ঘর দিবেন। এই বয়সে ইটের ঘরে থাকতে পারবো আমি।
উপজেলা সহকারি কমিশনার ( ভূমি) জান্নাতুল আফরোজ স্বর্ণা বলেন, স্থানিয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে নিয়ে আমরা পরিদর্শন করে জায়গা বরাদ্দ থেকে শুরু করে সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক কাজ করছি। সম্প্রতি ৬৭টি পরিবারকে জমিসহ নির্মিত বাসগৃহ উপহার দিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামী ২৬ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর মাধ্যমে আরো ২৮টি ঘর হস্তন্তর করা হবে। প্রকল্পের আওতায় এউপজেলায় ৪৪১টি পরিবারকে পর্যায়েক্রমে জমিসহ নান্দনিক টেকসই ঘর নির্মান করে দেয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইয়েদা ফয়জুন্নেছা নবধারা কে বলেন, ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য চমৎকার পরিবেশে মানসম্মত টেকসই ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে। এসব ঘরে আশ্রয় পাওয়াদের অধিকাংশই রাস্তার ধারে ফুটপাত বা কারও আশ্রয়ে বসবাস করতেন। তার এখন প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ঘর উপহার পেলেন। এর ফলে তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত হবে। পর্যায়েক্রমে উপজেলার শতভাগ দরিদ্র জনগোষ্ঠি যাদের জমি ও ঘর নেই তাদের বসবাসের জন্য বাড়ি করে দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।