চিতলমারী’র ইতিহাসের লেখক ও শিক্ষানুরাগী বেনজীর আহম্মেদ টিপু ভাই চলে গেলেন না ফেরার দেশে। ( ইন্নালিল্লাহি…রাজিউন)। তাঁর অকাল মৃত্যুতে চিতলমারী উপজেলা সাহিত্য পরিষদসহ বিভিন্ন সংগঠন ও শ্রেণী পেশার মানুষ গভীর ভাবে শোকাহত। মৃত্যুকালে তিনি দুই পুত্র এক কন্যা ও স্ত্রীসহ অসংখ্য গুণগ্রহী রেখে গেছেন।
লেখক বেনজীর আহম্মেদ টিপু’র পরিবার সুত্রে জানা গেছে, তিনি কিছুদিন যাবৎ শারীরিক অসুস্থ ছিলেন। তাঁকে চিকিৎসার জন্য রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৫ মে সোমবার রাত ৮টার দিকে হৃদক্রিয়ার যন্ত্র বন্ধ হয়ে মৃত্যু বরণ করেন। তাঁর লাশ ঢাকা থেকে বাড়িতে পৌঁছালে চিতলমারী উপজেলার কলিগাতী গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করার কথা রয়েছে। লেখক বেনজীর আহম্মেদ টিপু’র উল্ল্যেখযোগ্য গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে চিতলমারী’র ইতিহাস, চরমাগুরার ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধে মাদারীপুর, জাতীয় সংসদে শাহাজান খান এমপি, মৌলভী আচমত আলী খানের জীবন ও রাজনীতি। এছাড়া তাঁর একটি সাড়া জাগানো কবিতার বই সমুদ্র আমাকে ডেকেছে প্রভৃতি।
এছাড়া তিনি মাদারীপুর জেলার চরমুগরিয়া মহাবিদ্যালয়ের বাংলা বিষয়ের সহকারী অধ্যাপক হিসাবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। পাশাপাশি চিতলমারী উপজেলা সাহিত্য পরিষদসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে যুক্ত ছিলেন। বেনজীর আহম্মেদ টিপু ১৯৬৩ সালের ১৭ জানুয়ারী বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার কলিগাতী গ্রামে জন্মগ্রহন করেন। পিতা মরহুম শামসুর রহমান খলিফা, মাতা শুকরোন্নেছা।