আগামী ২৫ জুন দক্ষিন- পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের স্বপ্নের পদ্মা সেতু যান চলাচলের জন্য উম্মুক্ত হতে যাচ্ছে। বহু প্রতিক্ষিত পদ্মা সেতু উদ্বোধনের স্মরণীয় এবং ঐতিহাসিক দিন উদযাপনের জন্য চিতলমারীর লাখো মানুষ অধির আগ্রহে অপেক্ষা করছেন।
চিতলমারী উপজেলার নারী, পুরুষ ও শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ ৬.১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ স্বপ্নের এ পদ্মা সেতু উদ্বোধনী অনুষ্ঠান প্রত্যক্ষ করতে যাবেন।
ওই দিন সকাল ১০ টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেতুর উদ্বোধন করবেন। এর মাধ্যমে রজধানী ঢাকা থেকে সরাসরি সড়ক পথে দক্ষিন- পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের যোগাযোগ ব্যাবস্থার দ্বার উম্মোচিত হবে। সেতু উদ্বোধন অনুষ্ঠানে চিতলমারী উপজেলা আ’লীগ ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহন করেছে। তারা আশা করছেন বর্ণঢ্য আয়োজনের মাধ্যমে চিতলমারীর লাখো মানুষ এ অনুষ্ঠানে যোগদান করবেন। ইতোমধ্যে ২৫ জুন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগদান উপলক্ষ্যে ১৫ জুন বুধবার বিকালে টুঙ্গিপাড়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাসভবনে চিতলমারী উপজেলা আওয়ামীলীগের এক বর্ধীত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এখনে প্রধান অতিথি হিসেবে দিক নির্দেশনা মুলক বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধুর ভাতুষ্পুত্র শেখ হেলাল উদ্দিন এমপি।
চিতলমারী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক চরানিয়ারী মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (অবঃ) শিক্ষাবিদ পীযূষ কান্তি রায় জানান, দেশের উন্নয়নে সবসময় কাজ করে যাওয়া সাহসী ও দূরদর্শী নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু নির্মানের মাধ্যমে দেশের মানুষের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেছেন।তিনি বলেন সেতুটি দেশের যোগাযোগের ব্যাবস্থায় এক নতুন দিগন্ত উম্মোচন করবে এবং দক্ষিন- পশ্চিমাঞ্চলের ২১ টি জেলার মানুষের জীবন জীবিকার বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে।
তিনি আরো জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি বড় চ্যালেঞ্জ গ্রহন করে নিজস্ব অর্থায়নে ৬. ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ দ্বি- স্তর বিশিষ্ট পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছেন। এই স্বপ্নের সেতুটি দেশের দক্ষিন- পশ্চিমাঞ্চলের অর্থনৈতিক দৃশ্যপট বদলে যাবে।