বাগেরহাট জেলা গাংচিল সাহিত্য পরিষদের সাবেক সভাপতি প্রয়াত কবি বিজন বিশ্বাসের অকাল মৃত্যুতে অসায় হয়ে পড়েছে তার পরিবার। এ পরিস্থিতিতে বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার ডুমুরিয়া গ্রামে বসবাসরত কবির স্ত্রী অঞ্জনা বিশ্বাস সরকার বিত্তবানদের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
অঞ্জনা বিশ্বাস হতাশা ব্যক্ত করে নবধারা কে বলেন,স্বামীর মৃত্যুর পর এখন সংসার চালানোর কোন সংগতি নেই। স্বামীর মৃত্যুর সময় তার মানিব্যাগে মাত্র তিন হাজার টাকা রেখে গেছেন। এছাড়া কোন অর্থ জমা রেখে যাননি। তার দুটি মেয়ের পড়াশানার খরচ যোগাতে হিমশিম খাচ্ছেন। বড় মেয়ে বৃষ্টি বিশ্বাস খুলনার একটি কলেজে অনার্স ৪র্থ বর্ষে পড়াশুনা করছে। এছাড়া ছোট মেয়ে আরাধ্যা বিশ্বাস ৪র্থ শ্রেণীতে পড়াশুনা করছেন। স্বামী বিজন বিশ্বাস সাহিত্য চর্চার পাশাপাশি বাগেরহাট জেলা সদরে আইনজীবি হিসাবে কাজ করতেন। এতে যেটা রোজগার হত সেটা দিয়ে সংসার চলত। তারা জেলা শহরে একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। গত ২২ ডিসেম্বর ঢাকায় একটি সাহিত্য সম্মেলনে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন স্বামী বিজন বিশ্বাস। সেখান থেকে বাড়িতে ফিরে তিনি মারা যান। স্বামীর মৃত্যুর পর মানবেতর দিন কাটাচ্ছেন বলেও হতাশা ব্যক্ত করেন তিনি। এছাড়া স্বামীর ভিটায় তাদের কোন বসবাসের ঘর নেই। অন্যের বাড়িতে রাত কাটান। সামনে দুই মেয়েকে নিয়ে কিভাবে বেঁচে থাকবেন সে চিন্তায় দিশেহারা।
এ অবস্থায় তিনি সরকার এবং বিত্তবানদের কাছে ০১৬৫০০৫৬৬০২ নম্বরে যোগাযোগের মাধ্যমে সহযোগীতা কামনা করেছেন। কবি বিজন বিশ্বাসের প্রকাশিত গ্রন্থ, নুনজল কষ্টরা( কাব্য), পঙ্গু বর্ণের মিছিল,( কাব্য), রং নম্বর( উপন্যাস) প্রভৃতি।
স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য হিমাংশু মল্ডল (ঝড়–) জানান, বিজন বিশ্বাস একজন ভালো কবি ছিলেন। গ্রাম-বাংলার প্রকৃতির কথা উঠে এসছে তার লেখনীতে। তার মৃত্যুতুতে স্ত্রী-সন্তানরা খুবই মানবেতর দিন কাটাচ্ছে। এই মুহূর্তে তার স্ত্রী-সন্তানদের পাশে দাঁড়ানো দরকার।