স্থানীয় বখাটেদের মাত্রাতিরিক্ত অত্যচারের ফলে অবশেষে বিষপানে আত্মহত্যা আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছে। অকালেই ঝরে গেলো স্কুলছাত্রী উপমার নিস্পাপ প্রাণ । উপমার বাবা মায়ের মেয়ের স্বপ্নগুলো এখন শুধু দুঃসহ স্মৃতগুলো এখন নদী ভাঙার হাহাকারের মতো তাড়িয়ে ফিরছে।
জানা গেছে, উপজেলার বনগ্রাম ইউনিয়নের বিষখালী গ্রামের কৃষক সুব্রত মিস্ত্রীর বড় কন্যা বিকে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেনীর ছাত্রী উপমা। ঘটনার দিন গত শুক্রবার বিকেলে ঘরে থাকা কীটনাশক পান করে অসুস্থ হয়ে পড়লে চিকিৎসার জন্য প্রথমে পার্শ্ববতী কচুয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে তার অবস্থার আরো আশঙ্কাজনক অবনতি হলে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে স্কুল ছাত্রী উপমা মৃত্যুর তোলে ঢলে পড়ে। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নিস্তব্ধ হয়ে পড়েছে তার ও আশপাশের বিদ্যাপীঠের সহপাঠি সহ সকল ছাত্রছাত্রীরা। নবধারাকে এলাকাবাসি এ মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের প্রতি দাবি জানিয়েছেন। এলাকায় তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
মৃতাঃ স্কুল ছাত্রীর পিতা সুব্রত মিস্ত্রী, মাতা সিমা রানী মিস্ত্রী অঝোরে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে নবধারাকে বলেন, ওরা আমার মেয়েকে বাঁচতে দিলোনা। ফেক আইডি থেকে এলাকার বখাটে একটি চক্র কু-রুচিপূর্ন কথা বার্তা লিখে যা ফেসবুকের মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে আমার মেয়ে উপমাকে কয়েকদিন ধরে হুমকি-ধামকি দিচ্ছিলো। ফলে আমার মেয়ে ১০/১৫ দিন ধরে খাওয়া দাওয়া ছেড়ে দিয়ে মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ে। এরই ধারাবাহিকতায় সে ঘরে থাকা কীটনাশক পান করে আত্মহত্যা করেছে। এখনও আমার পরিবারকে হুমকি দিচ্ছে প্রভাবশালী চক্রটির লোকজন কোথাও কোন অভিযোগ মামলা না করার জন্য। আমাদের মতো আর কোন মা-বাবার বুক এ রকম যেনো খালি না হয়।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিধান চন্দ্র গাইন নবধারা কে বলেন, উপমা আমার বিদ্যালয়ের একজন ভাল ছাত্রী ছিলো। বিভিন্ন সময় তাকে উক্তাক্ত করা হতো অভিভাবকরা ইতোপূর্বে কখনও আমাদেরকে অবহিত করেনি। এ বিষয়ে একটি অপমৃত্যু মামলা রুজু করে মৃতার দেহ সৎকার করা হয়েছে।