স্বরূপকাঠি উপজেলার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রত্যেক খাতে সরকারি বরাদ্ধ থেকে উপরি নেয়ার অভিযোগ রয়েছে ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা ইউসুফ আলির বিরুদ্ধে। সাড়ে ৪ বছর ধরে একইরউপজেলায় কর্মরত ইউসুফ আলীর কাংখিত উপরি বা ঘুষ না পেলেই নেমে আসে বিভিন্ন ধরনের খড়গ বলে জানান একাধিক শিক্ষক।
তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে তিনি একই সাথে ভারপ্রাপ্ত টিও এবং এটিও উভয় পদের সকল ধরনের সরকারি সুযোগ সুবিধা ভোগ করার। তারা বলেন স্বরূপকাঠি উপজেলায় ১৭০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে।প্রতি বছরে এসব স্কুলে বরাদ্ধকৃত শ্লিপের ৫০ হাজার টাকা থেকে ৩ হাজার টাকা,রুটিন মেইনটেন্যান্স থেকে ২ হাজার টাকা, ক্ষুদ্র মেরামত থেকে ১০ হাজার টাকা, এডুকেশন এমারজেন্সি থেকে ১০ হাজার টাকা, নীড বেইজড প্লেয়িং এক্সেসরিজ থেকে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা কমিশন দিতে হয় প্রাথমিক এ সহকারি শিক্ষা অফিসারকে। এছারা স্কুল ভবনের রিপেয়ারিং কাজ বিভিন্ন জনকে পাইয়ে দেবার বিনিময়ে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া, মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কীয় বই বিতরন করে দেওয়ার নামে বিভিন্ন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে ভারপ্রাপ্ত টিওর বিরুদ্ধে।তবে তিনি মৎস ও প্রানী সম্পদ মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রীর এপিএস এর ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে সকল অনিয়মকে নিয়মে পরিনত করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন একাধিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক। এমনকি খোদ প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের আরেক এটিও একই অভিযোগ করেন । এসব বিসয়ে স্কুলে কর্মরত শিক্ষকরা বিভিন্ন ধরনের হয়রানির ভয়ে নিজেদের নাম প্রকাশ করতে চাচ্ছেন না। তারা বলেন এ ভারপ্রাপ্ত টিও সাহেবের হাত অনেক লম্বা। তিনি এখান থেকে চলে গেলেও আমাদেরকে নানা ধরনের হয়রানি করবে কর্মক্ষেত্রে। শিক্ষকদের বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিয়ে অনৈতিক কাজ করতে বাধ্য করছেন বলে জানান নান্দুহার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো.বাসেদ মিয়া।
এদিকে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের আরেক এটিও মধু বলেন, এসব ব্যাপারে বার বার তাকে অনুরোধ করেছি ব্যাক্তিগতভাবে। কিন্ত তিনি কোনো কথাই শোনেন না।এমনি আমাদের অফিসের টয়লেট এর দুরাবস্তা এবং অফিসে বৈদ্যুতিক পাখার স্বল্পতা নিয়েও তাকে বার বার বললেও তিনি কর্নপাত করছেন না। এসব বিসয়ে কথা হয় উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল হকের সাথে।আব্দুল হক বলেন আমার কাছেও অনেকেই অভিযোগ দিয়েছে। আমিও তাকে বার বার মৌখিকভাবে নিষেধ করেছি কিন্ত তিনি তার বেপরোয়াত্ব বন্ধ করছেন না। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন দেখুন সরকার আমাদের হাত পা বেধে রেখেছে যে কারনে আমরা অনেক কিছুই করতে পারিনা।
অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে মুঠোফোনে এ ভারপ্রাপ্তপ্রিাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বলেন এসকল অভিযোগই মিথ্যা। আমি কারো কাছ থেকে কোনো টাকা পয়সা নেইনা। শিক্ষকরা আমার এখানে এসে অনৈতিক সুবিধা না পাওয়ার কারনে এসকল মিথ্যা রটাচ্ছে।মন্ত্রীর এপিএস এর বাড়ি আর আমার বাড়ি একই উপজেলায় হওয়ায় আমাদের মধ্যে সখ্যতা রয়েছে। তবে আমি কখনই তার ক্ষমতা কাউকে দেখাইনি।প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে প্রতি বছর লক্ষাধিক টাকা সরকারি বরাদ্ধের খুদ্র মেরামত না করার ব্যাপারে এবং অফিসের দুরাবস্তার নিয়ে বলেন, আপনি আসুন চা খেয়ে যান আর নিজেই দেখুন।