বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে হাঙ্গার প্রজেক্টের সরাসরি পৃষ্ঠপোষকতায় পিএফজি (পিস ফ্যাসিলিটি গ্রুপ) এর আয়োজনে ‌‌ফলোআপ মিটিং অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার মোরেলগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী কেজি স্কুলের মিলনায়তনে সহিংসতা নয়, ঐক্যের বাংলাদেশ চাই শিরোনামে এ ফলোআপ মিটিয়ের আয়োজন করা হয়।

এস এম কলেজের প্রভাষক মোঃ জাকির হোসেন রিয়াজের পরিচালনায় মিটিংয়ে পিএফজির প্রজেক্ট প্রধান কাজী নিশাত উপস্থিত ছিলেন।

মিটিংয়ে প্রধান বক্তা ছিলেন বাগেরহাটের কারাপাড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও বাগেরহাট পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি বশীরুল ইসলাম, বিশেষ অতিথি আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুল আজিজ, হালিম জমাদ্দার, বিএনপি মোরেলগঞ্জ শাখার নেতা আব্দুস সামাদ, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির মোরেলগঞ্জ উপজেলা শাখার প্রধান সমন্বয়ক এসএম মোস্তাফিজুর রহমান লাকি, জেসাস মোরেলগঞ্জ শাখার সাধারন সম্পাদক রুবেল শেখ প্রমুখ।

বক্তাগণ সকলেই সুখী সমৃদ্ধ সহিংসতা মুক্ত ঐক্যের বাংলাদেশ চায় বলে দৃপ্ত প্রত্যয় ব্যাক্ত করেন।

প্রকল্প প্রধান কাজী নিশাত তার বক্তব্যে বলেন, হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশ ক্ষুধা দারিদ্র্য মুক্ত বাংলাদেশ চাওয়ার পাশাপাশি সহিংসতা মুক্ত ঐক্যের বাংলাদেশ চায় বলেই এমনসব জনহিতকর মিটিংয়ের আয়োজন করে যাচ্ছে। এই প্রজেক্টে বাংলাদেশের প্রতিটি বৈধ রাজনৈতিক সংগঠনের সম্পৃক্ততা চায় তারা, তবে স্বাধীনতা বিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত জামায়াত ইসলামি বাংলাদেশ ছাড়া।

প্রধান বক্তা জনাব বশীরুল ইসলাম তার বক্তব্যে বলেন, যেকোন রাজনৈতিক নেতারই উচিত অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরী না করে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখা। আওয়ামীলীগ দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার পরেও আমরা তো কোন সহিংসতা করিনি, বিএনপি জামাত জোট সরকারের আমলেও আমরা বাগেরহাটে তেমন কোন অসহিষ্ণু আচরণ না করায় এখনো বাগেরহাটে আছি শান্তিপূর্ণভাবে, যারা এমন অসহিষ্ণু আচরণ করেছে তারা সময়ের স্রোতে হারিয়ে গেছে। আপনি আওয়ামীলীগ করেন, পাশের প্রতিবেশী বিএনপি করে, তার ঘরে আগুন লাগলে আপনি আওয়ামীলীগ করেন বলে আপনার ঘরে আগুন লাগবেনা এমন কোন কারন নেই। আমাদের প্রতিটি মানুষকে সহনশীল হতে হবে, আপনি মারা গেলে আপনার প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক ব্যক্তিও যেন আপনার লাশের খাট ধরতে পারে সেরুপ আচরণ করবেন সবাই।

পিজিএফ এর আরেক কর্মকর্তা তুহিন আফসারিও তার বক্তব্যে বলেন, আগামি জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে যেন কোনরকম রাজনৈতিক সহিংসতা না হয় তার জন্যই তাদের এই প্রচেষ্টা।

জেসাস সাধারন সম্পাদকও তার বক্তব্যে সহিংসতা না করে একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে দেশ গড়ার কাজে মনোনিবেশ করার আহ্বান জানান।

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির নেতা মোস্তাফিজুর রহমান লাকি বলেন, আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় প্রাথমিক পর্যায়েই জাপানিদের মতো শিশুদের উপাকারের বদলে ধন্যবাদ দেওয়ার শিক্ষা প্রদানের ব্যবস্থা করতে।

মোরেলগঞ্জে এমন একটি উদ্যোগ ইতিপূর্বে কেউ দেখেনি। মোরেলগঞ্জ এমনিতেই রাজনৈতিক হানাহানি মুক্ত একটি উপজেলা বলে উল্লেখ করেন আওয়ামীলীগ নেতা ও মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার জনাব আব্দুল আজিজ।