1. nabadhara@gmail.com : Nabadhara : Nabadhara ADMIN
  2. bayzidnews@gmail.com : Bayzid Saad : Bayzid Saad
  3. bayzid.bd255@gmail.com : Bayzid Saad : Bayzid Saad
  4. mehadi.news@gmail.com : MEHADI HASAN : MEHADI HASAN
  5. jmitsolution24@gmail.com : support :
  6. mejbasupto@gmail.com : Mejba Rahman : Mejba Rahman
মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:২২ পূর্বাহ্ন

নড়াইলে মধুমতি নদীর অব্যাহত ভাঙ্গনে নদীগর্ভে বিলীন হতে চলেছে গ্রামের পর গ্রাম

শরিফুল ইসলাম (স্টাফ রিপোর্টার) নড়াইল
  • প্রকাশিতঃ রবিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২
  • ২৬৬ জন নিউজটি পড়েছেন।

 

নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় মধুমতি নদীর ভাঙনে পাল্টে যাচ্ছে শালনগর, জয়পুর,লোহাগড়া, ইতনা, কোটাকোল ইউনিয়নের মানচিত্র। মধুমতি নদীর অব্যাহত ভাঙ্গনের ফলে এ সকল ইউনিয়নের গ্রামের পর গ্রাম নদী গর্ভে বিলীন হতে চলেছে। এ বছরও নদী ভাঙ্গন ব্যাপক আকারে রুপ ধারণ করেছে। ভয়াবহ নদী ভাঙ্গনের ঝুঁকিতে ওই সব গ্রামের লোকজন অনেকে ঘরবাড়ি ও স্থাপনা নিয়ে নদীর ওপারে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার টগরবন্দ ও বুড়াইচ ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে আশ্রয় নিয়েছে।

শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকালে এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, মধুমতি নদী তীরবর্তী লোহাগড়া ইউনিয়নের কালনা বাজার, তেতুলিয়া,কামঠনা, চরবকজুড়ী, সিকদারপাড়া,শালনগর ইউনিয়নের রামকান্তপুর, শিয়েরবর, চর আজমপুর, মন্ডলবাগ, চর গোপালপুর খেয়াঘাট, চাকশী, নওখোলা মিয়াপাড়া, চরশালনগর, কাশিপুর, মাকড়াইল, চর মাকড়াইল, রামচন্দ্রপুর, মল্ডলবাগ। জয়পুর ইউপির চর আড়িয়ালা, আস্তাইল, আমডাঙ্গা, বকজুড়ী, ধানাইড়ল। ইতনা ইউপির ডিগ্রীচর,লংকারচর,পাংকারচর, দক্ষিন পাংকারচর, উওর পাংকারচর, ইচাখালীর এলাকায় বসতবাড়ি, ফসলি জমি ও পাকা রাস্তা মধুমতি নদীতে ভেঙে যাচ্ছে। ভাঙ্গন কবলিত গ্রামের লোকজন নদী ভাঙ্গনের ভয়ে তাদের বাড়ীঘর ভেঙ্গে অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছে। শিয়েরবরের হাট রক্ষার জন্য নদীতে বালুর বস্তা (জিও ব্যাগ) ফেলে ভাঙ্গন প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেয়া হলেও সম্প্রতি নদী ভাঙ্গন তীব্র আকার ধারণ করায় ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে ঐতিহ্যবাহী হাটটি। একই রকম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে, মন্ডলবাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মল্ডলবাগ আল-নুর জামে মসজিদ, নওখোলার আল-হেরা দাখিল মাদ্রাসা, চাকশি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও রামচন্দ্রপুর গ্রামের একটি মসজিদসহ শতাধিক বাড়ীঘর ও ফসলি জমি। চর খোলাবাড়িয়া গ্রামের জিন্না মিয়া, সাত্তার মিয়াসহ অনেকে জানান, ওই গ্রামসহ পার্শ্ববর্তী নওখোলা, চরশালনগর, চরকাশিপুর গ্রামের দুই শতাধিক পরিবার বাড়ীঘর সরিয়ে নিয়ে নদীর ওপার বসবাস করছে। এই মুহুর্তে শিয়েরবরের হাট ও নদী ভাঙ্গন কবলিত গ্রামগুলো রক্ষার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন না করলে এলাকার মানুষ নিঃস্ব হয়ে যাবে।

এ ব্যাপারে নড়াইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিবার্হী প্রকৌশলী উজ্জল কুমার সেন বলেন, যে সব জনগুরত্বপুর্ন স্থাপনা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে, সেখানে জরুরি ভিত্তিতে বালুর বস্তা ফেলে (জিও ব্যাগ) ভাঙ্গন প্রতিরোধের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এছাড়া নদী ভাঙ্গনের বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে নদী ভাঙ্গন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved সর্বস্বত্বঃ দেশ হাসান
Design & Developed By : JM IT SOLUTION