1. nabadhara@gmail.com : Nabadhara : Nabadhara ADMIN
  2. bayzidnews@gmail.com : Bayzid Saad : Bayzid Saad
  3. bayzid.bd255@gmail.com : Bayzid Saad : Bayzid Saad
  4. : deleted-B6iY9nGV :
  5. mehadi.news@gmail.com : MEHADI HASAN : MEHADI HASAN
  6. jmitsolution24@gmail.com : support :
  7. mejbasupto@gmail.com : Mejba Rahman : Mejba Rahman
  8. : wp_update-1720111722 :
শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:১২ পূর্বাহ্ন

বাংলাদেশ-ভারত বিশ্বে শান্তি দেখতে চায়: ওড়াকান্দিতে নরেন্দ্র মোদি

Reporter Name
  • প্রকাশিতঃ শনিবার, ২৭ মার্চ, ২০২১
  • ৮৭০ জন নিউজটি পড়েছেন।

নবধারা  প্রতিনিধিঃ

বাংলাদেশ-ভারত উভয় দেশই নিজেদের বিকাশ, প্রগতির চেয়ে বিশ্বের শান্তি চায়। মতুয়াদের মতানুসারীদের উদ্দেশে বক্তব্য দিতে গিয়ে এমনটাই বলেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শনিবার (২৭ মার্চ) দুপুরে  গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীর ওড়াকান্দিতে ঠাকুরবাড়ি পরিদর্শন ও মতুয়া নেতাদের সঙ্গে মত বিনিময় শেষে তিনি এ কথা বলেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আজ এখানে এসেছি এবং পূণ্যভূমি স্পর্শ করেছি। এই মুহূর্তের অপেক্ষা  আমার বহুদিনের । প্রথমবার বাংলাদেশ সফরের সময় তখনই এখানে আসার ইচ্ছা ছিল। আমি যখন পশ্চিমবঙ্গে গিয়েছিলাম তখন মতুয়া সম্প্রদায়ের লোকজন আমাকে অনেক ভালোবেসেছিল। পশ্চিমবঙ্গের ঠাকুরনগর থেকে বাংলাদেশের ঠাকুরবাড়ি পর্যন্ত একই অনুভূতি রয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আমি ১৩০ কোটি মানুষের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা নিয়ে এসেছি।’

মোদি তার বক্তব্যে শুরুতে উপস্থিতিতিদের স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন ‘এই দিনের পবিত্র মুহুর্তের প্রতিক্ষা আমার বহু বছর ছিলো। ২০১৫ সালে যখন আমি প্রধানমন্ত্রী হিসাবে প্রথমবার আসি। তারপরিবারের সদস্যদের ঘনিষ্টতা পেয়েছি। হরিচাদ ঠাকুরের আমি আজ ঠাকুর বাড়ী দর্শন করার জন্য । আমার মনে আছে পশ্চিম বঙ্গের ঠাকুর বাড়ী যখন গিয়েছিলাম আমার মতুয়া ভাই বোনেরা আমায় অনেক ভালোবেসেছে। বিশেষ করে বড় মা আমার জীবন পাল্টে দিয়েছে। আমার পশ্চিম বঙ্গের ঠাকুর নগর থেকে বাংলাদেশের ঠাকুর বাড়ী পর্যন্ত একই রকম শ্রদ্ধা রয়েছে ও একই রকম ভালোবাসা রয়েছে।’ তিনি আরও বলেন ‘আমি বাংলাদেশের জাতীয় অনুষ্ঠানে ভারতের ১৩০ কোটি জনগনের শুভেচ্ছা নিয়ে আসছি। বাংলাদেশের ৫০ বছর পূর্ন হওয়াই অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। গতকাল ঢাকায় ন্যাশনাল ডে অনুষ্ঠানে দেশের সুর্য ক্ষমতা দেখি যা আপনাদের অনেক সম্মানিত করেছি’।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন ‘ এখানে আসার আগে আমি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধে গিয়েছি সেখানে শ্রদ্ধা জানিয়েছি। উনার বিশ্বাস এক উদাহরন সরুপ।  আজ যে ভাবে ভারত বাংলাদেশ দেশের সরকার দু দেশের সম্পর্ক শক্তিশালী করছে। তাতে দু দেশের সম্পর্ক বহুদুর গেছে। এক ভাবে এ স্থান ভারত ও বাংলাদেশ দেশের আত্যিক সমপর্কের তীর্থ স্থান। আমাদের সম্পর্ক মনের সাথে মনের সম্পর্ক। ভারত এবং বা দেশ উভয় দেশই নিজেদের বিকাশ আর উন্নতি দেখতে চায়। উভয় দেশ আতঙ্কবাদি বাদ দিয়ে শান্তি দেখতে চায় প্রেম ভালোবাসা দেখতে চায়। এই মুল্য এই শিক্ষা হরিচাদ ঠাকুর দিয়েছে।

ভারত বাংলাদেশ এর বেশ কিছু সমস্যা নিয়ে ভারতে প্রধানমন্ত্রী বলেন ‘ আজ ভারত ও বাংলাদেশ সামনে যে ধরনের একই রকম চ্যালেঞ্জ রয়েছে তা সমাধানের জন্য শ্রী শ্রী হরিচাদ ঠাকুর অন্যতম দিক নির্দেশনা এটি দু দেশের জন্য অতি জরুরী’।

বর্তমান করোনা মহামারি নিয়ে মোদী বলেন ‘ করোনা মহামারি সময় দু’দেশের এক সাথে মোকাবেলা করছে। উভয় দেশ এই মহামারি এক সাথে মোকাবেলা করছে। ভারতে তৈরী ভ্যাকসিন যাতে বাংলাদেশে পৌছায় সে জন্য ভারত কাজ করে যাচ্ছে। শ্রীশ্রী হরিচাদ ঠাকুর সর্বদা আধুনিকতা ও পরিবর্তনের সমর্থন করেছে। আমাকে বলা হয়েছে যখন মহামারি শুরু হয়েছে অনলাইন কীর্ত্তণ করেন। শ্রীশ্রী হরিচাদ ঠাকুর এর শিক্ষা সব মানুষের কাছে পৌছাতে তার উত্তরাধীকারী গুরুচাদ ঠাকুর আদেশ দিয়েছে। হরিচাদ গুরুচাদ কার্যক্রম উল্লেখ করে তিনি রয়েছে জাতির মাঝে শ্রীশ্রী হরিচাদ ঠাকুর সমাজের দলিত, নীপিড়ীত ও দুর্বল সমাজের মানুষের কাছে শিক্ষা পৌছে দেয়ার কথা বলেছে।

 

শিক্ষা ও নারী শিক্ষা বিষয়ে মোদী তার বক্তব্যে বলেন ‘ আজ এতে সব ভারতবাসীর সৌভাগ্য তারা বাংলাদেশের শ্রী শ্রী হরিচাদ ঠাকুর এর সাথে যুক্ত হয়েছে। ওড়াকান্দির সাথে সবাই যুক্ত থাকবেন।  মেয়েদের স্কুল আপগ্রেট করবে এবং প্রাইমারী স্কুল স্থাপন করবে। ভারতের কোটি লোকের পক্ষ থেকে শ্রী শ্রী হরিচাদ ঠাকুর এর প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি’।

সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন ‘আমরা বাংলাদেশ সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞ যারা আমার এ কাজে সহযোগিতা করেছে। মতুয়া সম্প্রদায়ের ভাই বোনেরা শ্রী শ্রী হরিচাদ ঠাকুর জন্মজয়ন্তীর সময়ে ভারত থেকে প্রচুর সংখ্যক পূর্ণার্থী ওড়াকান্দি আসেন। যাতে তারা এখানে আসতে পারেন তার যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। বন্ধুরা ভারত সরকার আজ সকলের সাথে সকলের বিকাশ আর সকলের বিশ্বাসের সাথে কাজ করে যাচ্ছে  বাংলাদেশ এতে সহযাত্রী আর সেই বাংলাদেশের  বিকাশ আর পরিবতর্নে ভারত আপনাদের সহযাত্রী। আমার বিশ্বাস শ্রী শ্রী হরিচাদ ঠাকুরের আর্শিবাদে ও গুরুচাদ ঠাকুরের আর্শিবাদে একবিংশ শতাব্দীর এই সময়ে  ভারত আর বাংলাদেশ এক সাথে এগিয়ে যাচ্ছে। এই শুভ কামনার সাথে আপনাদের সকলকে অন্তরের অন্ত:স্থল থেকে শুভেচ্ছা ও অভিন্দন জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু।

 

টুঙ্গিপাড়া থেকে যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে রওনা দেওয়ার পরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বহন করা হেলিকল্পটার ১২ টা ২৫ মিনিটে ওড়াকান্দির আকাশে দেখা যায়, ১২ টা ২৯ মিনিটে তিনি হেলিকপ্টার থেকে নামেন।

১২টা ৪২ মিনিটে তিনি হরিচাদ গুরুচাদ মন্দিরে প্রবেশ করেন। মন্দিরের সেবাইত তাকে স্বাগত জানান, তারপরে তিনি মোমবাতি জ্বালিয়েছেন প্রদীপ প্রজ্জলন এবং হাতপাখা দিয়ে বাতাস ও ফুলের অর্ঘ দিয়ে পুজো দেন এবং লৌকিকতা শেষ করে প্রার্থনা করেন। এই সময় উপস্থিত মতুয়া বৃন্দরা উলুধ্বনি দেন।  প্রায় ১০ মিনিট তিনি আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন। সারা ওড়াকান্দি ছিল উৎসবের আমেজ। তবে নিরাপত্তা ছিল কয়েক স্তরের।

তাকে স্বাগত জানানোর জন্য সেখানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং গোপালগঞ্জ ২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম এমপি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং পররাস্ট্র মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, গোপালগঞ্জ ১ আসনের সংসদ সদস্য মুহাম্মদ ফারুক খান এমপি, কৃষি মন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক এমপি,  সফরসঙ্গী হিসেবে হরিচাঁদ- গুরুচাঁদ ঠাকুর বংশের উত্তরসূরী মতুয়া সংসদ সদস্য শান্তনু ঠাকুর ঠাকুর উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া বাংলাদেশ মতুয়া মহাসংঘের সভাপতি সীমা দেবী ঠাকুর, ঠাকুরবাড়ির অন্যতম সেবাইত পদ্মনাভ কাশিয়ানী উপজেলা চেয়ারম্যান সুব্রত ঠাকুর হিটলু ঠাকুরসহ প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর উর্ধবতন কর্মগণ উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved সর্বস্বত্বঃ দেশ হাসান
Design & Developed By : JM IT SOLUTION