পটুয়াখালীর দুমকিতে লেবুখালী শেখ হাসিনা সেনানিবাসের অধিগ্রহণকৃত প্রায় সাড়ে ৪শ’ একর জমির ক্ষতিপূরণ দাবীতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা।
বুধবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে উপজেলার লেবুখালী পায়রা সেতুর টোলপ্লাজা সংলগ্ন মহাসড়কে ঘন্টাব্যাপী এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় মানববন্ধন কর্মসূচিতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের প্রায় ৩ শতাধিক নারী পুরুষ অংশ নেয়।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে ইউপি সদস্য মোঃ সরোয়ার শিকদার, আ.লীগ নেতা শাহাবুদ্দিন শরীফ, আ.লীগ নেতা হক তালুকদার, আ.লীগ নেতা মোঃ শহীদ, মোঃ মানিক হাওলাদার, মোঃ জাকির বিশ্বাস, মোঃ হানিফ হাওলাদার, রাজ্জাক, বেগম রওশানারা বক্তব্য দেন।
বক্তারা বলেন, পটুয়াখালী জেলাসহ দক্ষিনাঞ্চলে বর্তমান সরকারের চলমান উন্নয়ন কর্মযজ্ঞের মধ্যে লেবুখালী শেখ হাসিনা সেনানিবাস দেশের সর্ববৃহৎ ক্যান্টনমেন্ট। এ সেনানিবাস নির্মাণ করতে দুমকি উপজেলার পাংগাশিয়া ইউনিয়নের আলগী, লেবুখালী ইউনিয়নের লেবুখালী ও আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের আঙ্গারিয়া মৌজার অন্তত: সাড়ে ৪শ’ একর জমি অধিগ্রহন করা হয়। এছাড়া বাকেরগঞ্জ উপজেলার দুধলমৌসহ আরও দু’টি মৌজার জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। বাকেরগঞ্জের দুধলমৌসহ অন্যান্য মৌজার অধিগ্রহণকৃত জমির মালিকরা তাদের ক্ষতিপূরণের টাকা হাতে পেলেও দুমকি উপজেলার জেএল-১ আলগি মৌজা, জেএল-২২ লেবুখালী মৌজা এবং আঙ্গারিয়া মৌজার অধিগ্রহনকৃত প্রায় সাড়ে ৪শ একর জমির ভিন্ন ভিন্ন বিএস খতিয়ানভুক্ত মালিকানার ৯শ’৯০ পরিবার ক্ষতিপূরণের টাকা পায়নি। তারা জেলা প্রশাসনের জমি অধিগ্রহণ শাখা ও সেনানিবাস কর্তৃপক্ষের কাছে বার বার ধর্ণা দিলেও দু’বিভাগের ঠেলাঠেলি ও নানা আইনী জটিলতায় ক্ষতিপূরণের পাওনা থেকে বঞ্চিত রয়েছেন। সেনানিবাস কর্তৃপক্ষের বার বার আশ্বাস দিলেও তারা সঠিক মালিকানা নিশ্চিৎ হতে না পারার অযুহাতে টাকা ছাড় করছে না। অপর দিকে জেলা প্রশাসনের অধিগ্রহণকৃত জমির বিপরীতে ক্ষতিপূরণের অর্থ ছাড় না হওয়ায় ক্ষতিপূরণের অর্থ বিতরণ আটকে আছে। তাই দিশেহারা অসহায় পরিবারগুলো দ্রুততম সময়ের মধ্যে তাদের ক্ষতিপূরণের টাকা পেতে সেনানিবাস কর্তৃপক্ষ, প্রতিরক্ষা, আইন, ভূমিসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় সমুহের সচিব, মন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।