1. nabadhara@gmail.com : Nabadhara : Nabadhara ADMIN
  2. bayzidnews@gmail.com : Bayzid Saad : Bayzid Saad
  3. bayzid.bd255@gmail.com : Bayzid Saad : Bayzid Saad
  4. mehadi.news@gmail.com : MEHADI HASAN : MEHADI HASAN
  5. jmitsolution24@gmail.com : support :
  6. mejbasupto@gmail.com : Mejba Rahman : Mejba Rahman
শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:৫৬ পূর্বাহ্ন

শিশুরাই হবে স্মার্ট বাংলাদেশের স্মার্ট জনগোষ্ঠী: প্রধানমন্ত্রী

নবধারা ডেস্ক
  • প্রকাশিতঃ শুক্রবার, ১৭ মার্চ, ২০২৩
  • ৪৬০ জন নিউজটি পড়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের মাঝে নেই কিন্তু তার আদর্শ আছে।সেই আদর্শ নিয়ে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব। বানাব আগামী দিনের বাংলাদেশ, স্মার্ট ও উন্নত বাংলাদেশ। 

শুক্রবার (১৭ মার্চ) দুপুরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত শিশু সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু জীবনটাকে উৎসর্গ করেছিলেন বাংলার মানুষের মুক্তির জন্য। তার ভেতরে যে মানসিকতা ছিল, মানুষের প্রতি দরদ ছিল, এটা ছোটবেলা থেকেই প্রকাশ পেয়েছিল। স্কুলে যখন পড়তেন তখন যার বই নেই তাকে নিজের বই দিয়ে দিতেন। গায়ের জামা কাপড় দরিদ্র মানুষকে বিলিয়ে দিতেন। এমনকি দুর্ভিক্ষের সময় নিজের গোলার ধানও মানুষকে বিলিয়ে দিয়েছেন। ছোটবেলা থেকে এই বিষয়গুলো  লক্ষ্য করেছিলেন আমার দাদা-দাদি। বড় হয়ে যারা শোষিত ও বঞ্চিত ছিল, একবেলা খাবার পেত না, যাদের কোনো পুষ্টি ছিল না, রোগের চিকিৎসা করার সামর্থ্য ছিল না, ঘরবাড়ি ছিল না সেই সব মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে তিনি সংগ্রাম করেছেন।

বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, আজ আমরা মাতৃভাষায় কথা বলতে পারি, বাংলা ভাষায় কথা বলতে পারি। সেই ৪৮ সাল থেকেই এই আন্দোলন তিনি শুরু করেছিলেন। তারই নেতৃত্বে আমরা পেয়েছি স্বাধীনতা, স্বাধীন জাতি হিসেবে আত্মপরিচয়। কাজেই জাতির পিতার এই জন্মদিনকে আমরা শিশু দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছি।

অক্ষম ও প্রতিবন্ধী শিশুদের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, অন্ধকে অন্ধ বলিও না, পঙ্গুকে পঙ্গু বলিও না- এটা হোক ছোটবেলার শিক্ষা। কাজেই তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল হতে হবে। আমরা কিন্তু প্রতিবন্ধীদের ভাতা দেই, বৃত্তিও দিয়ে থাকি। কাজেই সবাই এই সংসারের, সবাই এই সমাজের। বঙ্গবন্ধু শিশুদের ভালবাসতেন, শিশুদের প্রতি তার অত্যন্ত দরদ ছিলেন। শিশুদের সঙ্গে খেলা করতেও তিনি পছন্দ করতেন। কাজেই জাতির পিতার এই জন্মদিনটিকে আমরা শিশু দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছি। শিশুরা আমাদের আগামীর ভবিষ্যৎ, তারা যেন যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে ওঠে সেটাই আমাদের লক্ষ্য।

আজকের শিশুরাই স্মার্ট বাংলাদেশের স্মার্ট জনগোষ্ঠী হবে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, যে ডিজিটাল বাংলাদেশ আমরা গড়তে চাই, আগামী দিনের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে চাই, আজকের শিশুরাই তো হবে সেই স্মার্ট বাংলাদেশের স্মার্ট জনগোষ্ঠী। যারা এই দেশটাকে গড়ে তুলবে।

এবারের শিশু দিবসের প্রতিপাদ্য চমৎকার হয়েছে বলে জানিয়ে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিনে ও শিশু দিবসের এই প্রতিপাদ্য হলো- ‘স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্নে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন, শিশুদের চোখ সমৃদ্ধির স্বপ্নে রঙিন’। আমি মহিলা ও শিশু মন্ত্রণালয়কে অত্যন্ত ধন্যবাদ জানাই এরকম একটা সত্যিকার উপযোগী প্রতিপাদ্য গ্রহণ করার জন্য।

শিশুদের মানবিক হয়ে গড়ে ওঠার আহ্বান জানিয়ে সরকার প্রধান বলেন, খেলাধুলা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা, শিক্ষকদের কথা মান্য করা, অভিভাবকদের কথা মান্য করা প্রতিটি শিশুরই এগুলো অনুসরণ করে চলতে হবে। প্রতিটি শিশুরই মানবিক গুণাবলী সম্পন্ন হতে হবে।

এর আগে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধু সমাধি সৌধ কমপ্লেক্সের সামনে আয়োজিত শিশু সমাবেশে যোগ দেন তিনি।

পরে প্রধানমন্ত্রী সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার তুলে দেন। এছাড়া গরিব-মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্যে আর্থিক অনুদান প্রদান করেন। এরপর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী। বক্তব্য শেষে শিশু প্রতিনিধির বক্তব্য, বঙ্গবন্ধু ও শিশু অধিকারবিষয়ক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন, কাব্যনৃত্যগীতি আলেখ্যানুষ্ঠান উপভোগ করেন। এরপর তিনি শিশু দিবস উপলক্ষ্যে তিন দিনব্যাপী বইমেলার উদ্বোধন করেন।

এর আগে সকালে বঙ্গভবন থেকে হেলিকপ্টারে করে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও গণভবন থেকে সড়ক পথে টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশে রওনা হন প্রধানমন্ত্রী। টুঙ্গিপাড়া পৌঁছে সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী।

এসময় সেনা, নৌ এবং বিমান বাহিনীর একটি চৌকস দল গার্ড অব অনার প্রদান করে। পরে বঙ্গবন্ধু পরিবারের সব শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাতে অংশ নেন তারা।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved সর্বস্বত্বঃ দেশ হাসান
Design & Developed By : JM IT SOLUTION