1. nabadhara@gmail.com : Nabadhara : Nabadhara ADMIN
  2. bayzidnews@gmail.com : Bayzid Saad : Bayzid Saad
  3. bayzid.bd255@gmail.com : Bayzid Saad : Bayzid Saad
  4. mehadi.news@gmail.com : MEHADI HASAN : MEHADI HASAN
  5. jmitsolution24@gmail.com : support :
  6. mejbasupto@gmail.com : Mejba Rahman : Mejba Rahman
শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:০৫ পূর্বাহ্ন

নিজেদের ভাগ্য উন্নয়ন করতে আসিনি- দেশের মানুষের ভাগ্য গড়তে এসেছি– প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

কোটালীপাড়া (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিতঃ শনিবার, ১ জুলাই, ২০২৩
  • ৪০০ জন নিউজটি পড়েছেন।
দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে কোটালীপাড়ায় নৌকায় ভোট চাইলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, মানুষের আর্থ সামাজিক উন্নয়ন ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন করা আমাদের লক্ষ্য। আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল পদ্মা সেতু নির্মাণ। পদ্মা সেতু নির্মাণে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ দিতে চেয়েছিল। রাজনীতি করে নিজের ভাগ্য গড়তে আসিনি- মানুষের ভাগ্য গড়তে এসেছি। তারা অপবাদ দিয়েছিল তার প্রতিবাদ করে নিজেদের টাকায় পদ্মা সেতু করতে পেরেছি। এটাই হচ্ছে সবচেয়ে বড় কথা। সেই শক্তিটা কিন্তু আপনারাই যুগিয়েছেন। কোটালীপাড়াবাসি আপনারা আমার সব দায়িত্ব নিয়েছেন। আমার নির্বাচন, আমার সবকিছুই আপনারাই দেখেন। টুঙ্গিপাড়া- কোটালীপাড়ার মানুষই হলো আমার সবচেয়ে বড় শক্তি।
শনিবার দুপুরে কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দের সাথে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ভবেন্দ্র নাথ বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা আরো বলেন, আজকে আমরা আমাদের দেশের ভাবমূর্তি সারা বিশ্বে উজ্জ্বল করতে পেরেছি। জাতিসংঘের প্রতিনিধি আন্ডার সেক্রেটারী দেশে আসছেন। অন্যান্য দেশের প্রতিনিধিরাও আসছেন। আমরা আমাদের দেশের ভাবমূর্তি সারা বিশ্বে উজ্জ্বল করতে পেরেছি। কিন্তু আমাদের কিছ্থতো আছেই যারা বাংলাদেশের কোন ভালোই দেখে না চেঁাখে। চেঁাখ থাকতে যারা অন্ধ তাদের বিরুদ্ধে কিছুই বলার নেই। ঈদের শুভেচ্ছা জানাতে এসেছি। কাছেই এসব কিছু এখন আর বলার নেই। কিন্তু এটাই বলবো- তারা দেখেনা, কিন্তু ভোগ করে।
তিনি বলেন, আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ পেয়েছি। আজকে সবার হাতে মোবাইল ফোন। অনলাইনে সবাই সারাদিন কথা বলে। এতোগুলো টেলিভিশন দিয়ে দিয়েছি।তারপরও সব বলেও, তারা বলে তাদের কথা বলার অধিকার নেই!
প্রধানমন্ত্রী কৃষির প্রতি গুরুত্বারোপ করে বলেন,আমাদের ফসল আমাদের ফলাতে হবে। আমাদের খাদ্যের চাহিদা আমরা পূরণ করব। যা উদ্বৃত্ত থাকবে তা অন্যকে দিতে পারবো। আমরা খাদ্য সংরক্ষণের ও ব্যবস্থা করছি। এলাকায় এলাকায় সে ব্যবস্থা নেবো। শুধুৃ এটুকুই বলবো, কোথাও যেন কোন অনাবাদী জমি না থাকে। আষাঢ় মাসে বৃষ্টির মধ্যে আমরা বৃক্ষ রোপন শুরু করেছি। এটা আওয়ামী লীগের কর্মর্সূচি। সকলকে আহবান করেছি অন্তত ৩টি করে গাছ লাগান। এরমধ্যে একটি ফলদ, একটি বনজ ও একটি ভেষজ গাছ লাগাতে হবে। কাজেই এগুলো করেই আমরা লাভবান হবো। এক্ষেত্রে আমরা সহযোগিতা দেব।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার বাবা দেশটা স্বাধীন করে দিয়ে গেছেন। তারই স্বপ্ন পূরণ করে ক্ষুধা দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গড়া আমাদের লক্ষ্য। দেশে হতদরিদ্র মাত্র ৫ পারসেন্ট। সেটাও যেন না থাকে সে ব্যবস্থা নিচ্ছি। একটাও হৃতদরিদ্র থাকবে না। প্রত্যেকের একটি ঘর, একটু জমি ও  জীবন জীবিকার ব্যবস্থা ইনসাআল্লাহ করতে পারব। আর আমরা সেটাই চাই। এছাড়া শিক্ষা দীক্ষা সবদিক থেকে বিশেষ করে কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে ওষুধ দিচ্ছি, শিক্ষার ব্যবস্থা করছি, স্কুলগুলোকে নতুনভাবে তৈরী করে দিচ্ছি, পড়াশুনার সুযোগ করে দিচ্ছি ও বৃত্তি দিচ্ছি। আড়াই কোটি শিক্ষাথর্ীদের আমরা বৃত্তি দেই। এভাবে আমরা প্রতিটি শ্রেনী পেশার মানুষকে এমনকি বষস্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, দুঃস্থ মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, বিভিন্ন সামাজিক নিরাপত্তামূলক কাজের মধ্যদিয়ে আমরা সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছি। আল্লাহর কাছে এটাই শুধু দোয়া করবেন। যারা আমাদের হিন্দু সম্প্রদায়ের আছেন বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান সম্প্রদায় সবাই যার যার ধর্মীয় ভাবে সৃষ্টিকর্তার কাছে কামনা করবেন। লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে এই বাংলাদেশ সারা বিশ্বে মাথা উচু করে চলবে। বাংলাদেশের মানুষ মর্যাদা নিয়ে চলবে সেটাই আমরা চাই। জাতির পিতার স্বপ্ন ক্ষুধা দারিদ্র মুক্ত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে পারবো আজকের দিনে সেটাই আমাদের প্রতীজ্ঞা।
এসময় আওয়ামী লীগের তথ্য বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়, উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য কাজী আকরাম উদ্দিন আহম্মদ, প্রেসিডিয়াম মেম্বার শাজাহান খান, এমপি,  আওয়ামী লীগের  যুগ্ম সাধারন সম্পাদক  আফম বাহাউদ্দিন নাছিম, এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল, শেখ হেলাল উদ্দিন, এমপি, শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল, এমপি, প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনি এলাকার উন্নয়ন প্রতিনিধি শহীদ উল্লা খন্দকার, কোটালীপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান বিমল কৃষ্ণ বিশ্বাস, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আয়নাল হোসেন শেখ, আওয়ামী লীগ নেতা এস এম হুমায়ূন কবীর, মুজিবুর রহমান হাওলাদার, কোটালীপাড়া পৌরসভার মেয়র ,মতিয়ার রহমান হাজরা, কামাল হোসেন শেখ, জেলা পরিষদ সদস্য কামরুল ইসলাম বাদল প্রমূখ।
এরআগে, প্রধানমন্ত্রী কোটালীপাড়া ১১টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার আওয়ামী লীগ ও অঙ্গনসংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও ইউপি চেয়ারম্যানদের  বক্তব্য মনযোগ দিয়ে শোনেন।
পরে উপজেলা পরিষদ চত্বরে নেতা-কমর্ীদের সাথে মধ্যাহ্ন ভোজে অংশ নেন। মধ্যাহ্ন ভোজের ম্যানু ছিল , সবজি, খাসির মাংস, ডাল ও মিষ্টান্ন।
এরআগে, প্রধানমন্ত্রী কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের নবনির্মিত ভবনের উদ্বোধন ও ভবনের সামনে তিনটি গাছের চারা রোপন করেন।
বেলা শনিবার বেলা সাড়ে ১১ টায় সড়ক পথে ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে কোটালীপাড়া এসে পৌঁছান তিনি।
কোটালীপাড়ায় পৌছানোর পর নেতা-কর্মীরা প্রধানমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান ও বিভিন্ন শ্লোগান দেন। প্রধানমন্ত্রী এসময় হাত নেড়ে নেতা-কর্মীদের শুভেচ্ছা জানান।
দুপুর সোয়া ১টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোটালীপাড়া থেকে টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশে রওনা
হন।
টুঙ্গিপাড়ায় পৌছে তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে পুষ্পস্তাবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন ও তঁার রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved সর্বস্বত্বঃ দেশ হাসান
Design & Developed By : JM IT SOLUTION