কোটালীপাড়া প্রতিনিধিঃ
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় স্বামীর বিরুদ্ধে শিপ্রা বাড়ৈ (২০) নামে এক গৃহবধূকে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ।
গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় উপজেলার বাগানউত্তরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।জানাগেছে, ৩বছর আগে উপজেলার বাগানউত্তরপাড়া গ্রামের বিরেন রায়ের মেয়ে শিপ্রা বাড়ৈর সাথে একই গ্রামে জুরান বাড়ৈর ছেলে জুয়েল বাড়ৈর সাথে বিবাহ হয়। বিবাহের কয়েক মাস তাদের সংসার ভালো ভাবে গেলেও পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে স্বামী জুয়েল বাড়ৈ স্ত্রী শিপ্রা বাড়ৈকে মারধর করতো বলে জানান শিপ্রা বাড়ৈর মা মিনতী রায়।
তিনি বলেন, আমার মেয়ে শিপ্রা বাড়ৈর স্বামী জুয়েল বাড়ৈ মাদকসেবন করে প্রায়ই আমার মেয়েকে মারধর করতো। এ নিয়ে বিভিন্ন সময় এলাকায় সালিস বৈঠকও হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাতে মাদকসেবন করে এসে আমার মেয়েকে মেরে গলায় ফাঁস দিয়ে ঘরের আড়ার সাথে ঝুলিয়ে রেখে আমাদেরকে খবর দেয় শিপ্রা বাড়ৈ আত্মহত্যা করেছে। আমার মেয়ের কোলে ৮মাসের একটা কন্যা সন্তান রয়েছে। এই কন্যা সন্তান রেখে সে কখনোই আত্মহত্যা করতে পারেনা। আমার মেয়েকে জুয়েল বাড়ৈ ও তার পরিবার হত্যা করেছে। আমার মেয়ের হত্যাকারীদের বিচার দাবি করছি।
এ বিষয়ে জুয়েল বাড়ৈর বাড়িতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে তার মা নয়ন বাড়ৈ বলেন, গতকাল মঙ্গলবার রাতে আমার পুত্রবধূ শিপ্রা বাড়ৈর জন্য বাজার থেকে ক্রীম কিনে (মুখে ব্যবহারে জন্য) না আনায় আমার ছেলে জুয়েল বাড়ৈর সাথে পুত্রবধূ শিপ্রা বাড়ৈর কথার কাটাকাটি হয়। এরপর আমি ঘুমিয়ে পড়ি। তারপর রাতে দেখি শিপ্রা বাড়ৈ ঘরের আড়ার সাথে ফাঁস দিয়ে ঝুলে আছে। আমরা বা আমার ছেলে জুয়েল বাড়ৈ আমার পুত্রবধূকে হত্যা করেনি। সে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
কোটালীপাড়া থানার এসআই (উপপরিদর্শক) মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, আজ বুধবার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গোপলগঞ্জ মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরে মৃত্যুর আসল কারণ জানতে পারবো।
তিনি আরো বলেন, এ ব্যাপারে কোটালীপাড়া থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।