সাইফুল ইসলাম নয়ন (জাবি প্রতিনিধি)
বাংলাদেশ ভারত সীমান্তে প্রতিনিয়ত হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ, সমাবেশ ও মশাল মিছিল করছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। আজ সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) বেলা সোয়া দুইটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কলাভবন এলাকা থেকে মিছিল বের করেন তাঁরা।
মিছিলটি শহীদ মিনার এলাকা ঘুরে বটতলায় গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ হয়। গত রবিবার ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে বাংলাদেশি কিশোর জয়ন্ত কুমার সিংহ (১৫) নিহত হয় ও মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে সম্প্রতি নিহত স্কুলশিক্ষার্থী স্বর্ণা দাসের (১৪) মরদেহ ৪৫ ঘণ্টা পর বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।ভারতের এমন প্রতিনিয়ত হত্যা সাধারন শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।
সমাবেশে শিক্ষার্থীরা ফেলানী থেকে স্বর্ন দাস সকল সীমান্ত হত্যার বিচারের জোর দাবি জানায়। সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের ৪৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী নূর-এ তামিমের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী প্রাপ্তি তাপসী। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক কোনোভাবেই সম্প্রীতির সম্পর্ক নয়।
দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্রের মধ্যে এই সম্বন্ধটি অসম্মানজনক সম্পর্ক। ভারত যুক্তিসংগত পানি হিস্যা চুক্তি না মেনে আমাদের প্রয়োজনীয় সময়ে তিস্তা ও ফারাক্কা বাঁধ থেকে শুরু করে সব কটি বাঁধের পানি বন্ধ করে দিয়ে ফসলের ক্ষতি করে; আবার অসময়ে পানি ছেড়ে দিয়ে আমাদেরকে বন্যায় ডুবিয়ে দেয়। আবার তারা সীমান্তে মানুষকে নির্মমভাবে হত্যা করে। গত দুই সপ্তাহে দুজনকে হত্যা করেছে। গত সপ্তাহে স্বর্ণা দাস আর এখন জয়ন্ত কুমার।’ বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আহসান লাবিব বলেন, আমরা ভারতীয় আধিপত্য মেনে নেব না। নির্বিচারে সীমান্ত হত্যা বন্ধ করতে হবে। ভারতকে সীমান্ত হত্যার দায়ে আন্তর্জাতিক আদালতে বিচারের সম্মুখীন করতে হবে। গত ১৫ বছরে ভারত বাংলাদেশকে একটি বাজারে পরিণত করেছে।
গত ১৫ বছরে হাসিনা সরকারের সাথে ভারত সরকারের অনেক গোপন চুক্তি হয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সব গোপন চুক্তি প্রকাশ্যে আনতে হবে। যেসব চুক্তিতে বাংলাদেশের স্বার্থ উপেক্ষিত হয়েছে সেগুলোকে বাতিল করতে হবে।