1. nabadhara@gmail.com : Nabadhara : Nabadhara ADMIN
  2. bayzidnews@gmail.com : Bayzid Saad : Bayzid Saad
  3. bayzid.bd255@gmail.com : Bayzid Saad : Bayzid Saad
  4. mehadi.news@gmail.com : MEHADI HASAN : MEHADI HASAN
  5. jmitsolution24@gmail.com : support :
  6. mejbasupto@gmail.com : Mejba Rahman : Mejba Rahman
রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ০৪:১১ অপরাহ্ন

নড়াইলে মসজিদ-মন্দির পাশাপাশি স্থানে চলছে নামাজ ও পূজা

শরিফুল ইসলাম, স্টাফ রিপোর্টার, নড়াইল
  • প্রকাশিতঃ শনিবার, ১২ অক্টোবর, ২০২৪
  • ২১৯ জন নিউজটি পড়েছেন।

শরিফুল ইসলাম, স্টাফ রিপোর্টার, নড়াইল

নড়াইলের চিত্রার নদীর পাড়ে নড়াইল সদর পৌরসভার মহিষখোলা গ্রামে ধর্মীয় সম্প্রীতির এমন উজ্জ্বল নিদর্শন রয়েছে। চার দশক ধরে প্রায় হিন্দু ও মুসলমান সম্প্রদায়ের লোকজন পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা বজায় রেখে তাদের ধর্মীয় উৎসব উদযাপন করছে। তবে সব ঐহিত্য মেনে উৎসবে সামিলও হচ্ছেন হিন্দু ও মুসলমান সবাই। ছোট্ট মাঠের একপাশে মসজিদ আর অন্যপাশে মন্দির। সময় হলে কেউ যাচ্ছেন নামাজে,আর কেউ যাচ্ছেন দেবী দূর্গার দর্শনে। স্বাধীনভাবে যার যার ধর্ম পালন করছেন সবাই চলছেন সম্প্রতি রক্ষা করে।

স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, নড়াইলের পুরান সাব রেজিস্ট্রি কার্যালয়টি দীর্ঘদিন ধরে মহিষখোলায় এলাকায় রয়েছে। তবে কার্যালয়ের পাশেই ১৯৭৪ সালে মহিষখোলা পুরাতন সাব রেজিস্ট্রি অফিস জামে মসজিদ নামের এই মসজিদটি প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৯২ সালে নতুন করে আবার মসজিদের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ১৯৮০ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয় মহিষখোলা সার্বজনীয় পূজা মন্দির। তবে নিজস্ব জায়গায় মন্দিরটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (১১অক্টোবর) বিকালে গিয়ে দেখা গেছে, চিত্র নদীর পাড়ে একটি ছোট্ট মাঠের পাশে তিনটি স্থাপনা রয়েছে। মাঠের পশ্চিম পাশে মসজিদ,আর উত্তর পাশে রয়েছে মন্দিরটি। মন্দিরটি উত্তর-দক্ষিণমুখী। আর মাঠের দক্ষিণ পাশে রয়েছে একটি রাস্তা।

স্থানীয় লোক সাধন দাস ও আরিফুর ইসলাম বলেন শান্তি পূর্ণ ভাবে আমরা হিন্দু-মুসলিম একই পরিবারের সদস্য হিসেবে এলাকায় বসবাস করে আসছি। এলাকায় কখনও ধর্ম নিয়ে কোনো বিরোধে আমরা লিপ্ত হয়নি। তবে এলাকার লোকজন প্রত্যেকেই নিজ নিজ ধর্ম পালনের পাশাপাশি অন্য ধর্মের প্রতিও শ্রদ্ধাশীল। এব্যাপারে মহিষখোলা পুরাতন সাব রেজিস্ট্রি কার্যালয় জামে মসজিদের ইমাম মাত্তঃ মোহাম্মদ ইনামুল করিব বলেন,মন্দির কমিটির কাছে আমরা নামাজের সময় সূচি দিয়েছি। নামাজের সময় মন্দির কমিটি তাদের কাজক্রম সীমিত রাখেন। নামাজ শেষ হলে স্বাভাবিক নিয়মেই পূজা-অর্চনার কাজ চলছে। তবে আমরা সবাই মিলে মিশে এক সঙ্গেই বসবাস করছি।

মহিষখোলা সার্বজনীন পূজা মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক শুভংকর সরকার বলেন,মুসলমান সম্প্রদায়ের লোকজন এ গ্রামে বেশি হলেও কখনোই আমাদের পূজা-অর্চনা করতে কোনো সমস্যার সম্মুখীন হয়নি। আমরা সবাই মিলে মিশে এখানে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছি।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved সর্বস্বত্বঃ দেশ হাসান
Design & Developed By : JM IT SOLUTION