জাবি প্রতিনিধি
(নিষিদ্ধ সংগঠন) ছাত্রলীগের সদস্য ও জুলাই গণহত্যায় অংশগ্রহণকারী সকল শিক্ষার্থীর ক্লাস, পরীক্ষায় অংশগ্রহণ ও হলে পুনর্বাসন এর বিরুদ্ধে প্রশাসন এর দৃশ্যমান পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতি বন্ধ ও দ্রুত সময়ের মধ্যে জাকসু নির্বাচনের মাধ্যমে ছাত্র প্রতিনিধি নিশ্চিত করতে হবে।জুলাই আগ্রাসনে জড়িত সকল শিক্ষক কে অব্যহতি এবং তদন্তের মাধ্যমে বিচার নিশ্চিত।)
১৪,১৫, ১৭ জুলাই হামলায় প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে জড়িত সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন বশির আহমেদসহ সকল শিক্ষককে তদন্ত চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কার্যক্রম থেকে অব্যহতি প্রদান করে অতিদ্রুত তদন্ত সাপেক্ষে সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করাসহ তিন দফা দাবি নিয়ে মানববন্ধন করেছে জাবি শাখা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
রোববার দুপুর একটা নাগাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে তারা এ কর্মসূচি পালন করেছেন। এসময় হামলাকারীদের দ্রুত সময়ে আইনের আওতায় না আনলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দেন তারা।
মানবন্ধনে নৃবিজ্ঞান বিভাগের ৫০তম ব্যাচের শিক্ষার্থী নাজমুল ইসলাম বলেন, ১৫ জুলাই জাহাঙ্গীরনগর এর জন্য একটি কালরাত। বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষকের প্রত্যক্ষ পরোক্ষ মদদে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছিল। আমরা দেখছি, এসব শিক্ষদের কেউ কেউ এখনও তাদের শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। তাদেরকে দ্রুত তদন্ত সাপেক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দিতে হবে।
নিজের প্রতি অবিচার হচ্ছে জানিয়ে মার্কেটিং বিভাগের ৫১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী নাদিয়া রহমান অন্বেষা বলেন, ১৫ জুলাই রাতে বঙ্গবন্ধু হলের সামনে এবং ভিসির বাসভবনের ভাড়াটিয়া গুন্ডা এনে যে ছাত্রলীগ আমাদের হামলা করেছিল, সেই ছাত্রলীগ ক্যাম্পাসে অবাধে চলা-ফেরা করছে। তারা রুটিন মাফিক ক্লাস-পরীক্ষার অংশ গ্রহণ করছে। তাদের সাথে আমাদেরকে একই ক্লাসে বসতে হচ্ছে। তাহলে কি প্রশাসন আমাদের সাথে ইনজাস্টিস করছে না? এছাড়া ও সমন্বয়ক মেহরাব সিফাত, সমন্বয়ক তৌহিদ সিয়াম মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন।