1. nabadhara@gmail.com : Nabadhara : Nabadhara ADMIN
  2. bayzidnews@gmail.com : Bayzid Saad : Bayzid Saad
  3. bayzid.bd255@gmail.com : Bayzid Saad : Bayzid Saad
  4. mehadi.news@gmail.com : MEHADI HASAN : MEHADI HASAN
  5. jmitsolution24@gmail.com : support :
  6. mejbasupto@gmail.com : Mejba Rahman : Mejba Rahman
শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:২০ অপরাহ্ন

নড়াইলে বৃদ্ধাকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যায় ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দুই পুত্রবধুর

Reporter Name
  • প্রকাশিতঃ শনিবার, ৫ জুন, ২০২১
  • ৮৩৮ জন নিউজটি পড়েছেন।

শরিফুল ইসলাম স্টাফ রিপোর্টার নড়াইলঃ

নড়াইলের কালিয়া উপজেলার জামরিলডাঙ্গা গ্রামের ৭৪ বছরের বৃদ্ধা সালেহা বেগমকে পুড়িয়ে হত্যার রহস্য বেরিয়ে এসেছে। নিহত সালেহা বেগমের দুই পুত্রবধু কুলসুম ও নারগিস আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দিয়েছেন। নড়াইলের আমলী আদালত কালিয়ার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মোরশেদুল আলমের আদালতে এ জবানবন্দী প্রদান করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কালিয়া থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ আমানুল্লাহ আর বারী জানান, শুক্রবার দুুপুরে নিহত সালেহা বেগমের পুত্রবধু আরিফ খন্দকারের স্ত্রী কুলসুম ও বৃহস্পতিবার দুুপুরে অপর পুত্রবধু ইরুপ খন্দকারের স্ত্রী নারগিস স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন।
নিহতের ছেলে ইরুপ খন্দকার, ইরুপ খন্দকারের জামাই মিরাজ ও আরিফ খন্দকারের ছেলে রাশেদ খন্দকার পুড়িয়ে হত্যা করার কথা স্বাকীর করে জবানবন্দী দিয়েছে বলে তদন্তকারী কর্মকর্তা জানান। বৃদ্ধার ছেলে ৯মাস আগে নিহত আরিফ খন্দকার হত্যা মামলার আসামীদের শাযেস্তা করতেই এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জানিয়েছেন। অবশ্য বৃদ্ধার পুত্রবধু ইরুপ খন্দকারের স্ত্রী নারগিস দাবি করেন, পুলিশ ভয় দেখিয়ে জবানবন্দী দিতে বাধ্য করেছে।

জানাগেছে, নড়াইলের কালিয়া উপজেলার পিরোলী ইউনিয়নের জামলিডাঙ্গা গ্রামের মৃত নূর আলী খন্দকারের স্ত্রী সালেহা বেগমকে (৭৪) গত ২২ মে রাতে পুড়িতে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। তিনি দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ্য অবস্থায় বাড়ির বারান্দায় পাটকাঠি দিয়ে ঘেরা কক্ষে রাত্রিযাপন করতেন।

পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় নিহতের মেয়ে মিনি বেগম বাদী হয়ে ১১জনের নাম উল্লেখ্যসহ অজ্ঞাতনামা ৬/৭জনকে আসামী কলে কালিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-১১, তাং-২৫/০৫/২১ইং।
ঘটনার পর নড়াইলের পুলিশ সুপার প্রবীর কুমার রায় (পিপিএম বার) সহ পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
নিহত সালেহা বেগমের ছেলে ইরুপ খন্দকার দাবি করেন, তার ভাইয়ের হত্যাকারীা জেল থেকে বেরিয়ে এসে বৃদ্ধ মাকে হত্যা করেছে। কি কারনে হত্যা করেছে এমন প্রশ্নের জবাবে ইরুপ খন্দকার বলেন, ‘ আমার ভাই আরিফ খন্দকার হত্যা মামলাটি মিমাংসা না করায় আমার মাকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে।’

এদিকে এই মামলার আসামীপক্ষ দাবি করেছেন, আরিফ হত্যা মামলার আসামীসহ প্রতিপক্ষকে শায়েস্তা করতে বৃদ্ধাকে নিজেরা পুড়িয়ে আসামী করা হয়েছে। এই মামলার অধিকাংশ আসামী এলাকায় থাকেন না।
মামলার অভিযুক্ত আসামী আকছির মোল্যা চাকুরীর সুবাদে খুলনায় বসবাস করেন। আসামী রেন্টু শেখ ও তার স্ত্রী তাজমা বেগম খুলনায় বসবাস করেন। আসামী ওমর ও বাদল যশোরে বসবাস করেন। আসামী সাব্বির চাকুরীর কারনে ঢাকায় থাকেন। এছাড়া বেশ কয়েকজন আসামী এলাকায় থাকেন না।

এদিকে এলাকার বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ জানান, বৃদ্ধা সালেহা বেগম তিন বছর ধরে প্যারালাইজড হয়ে অসুস্থ্য হয়ে পড়ে আছেন। এলাকায় কারও সাথে কোন শত্রুতা নেই। পরিকল্পিত ও নির্মম এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় প্রকৃত দোষীদের সনাক্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কালিয়া থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ আমানুল্লাহ আর বারী বলেন, ‘ ঘটনার পর মামলাটি বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে তদন্তকাজ চালানো হয়েছে। নিহতেরত দুই পুত্রবধু নাগরিস ও কুলসুমকে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের নাম প্রকাশ করেছে। সে মোতাবেক আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দিয়েছে। প্রকৃত দোষীরা যাতে আইনের আওতায় আসে সে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।’ #

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved সর্বস্বত্বঃ দেশ হাসান
Design & Developed By : JM IT SOLUTION