শামীম শেখ, গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী)
মাত্র ১০ টাকায় মেয়েদের মন, এটাও কি সম্ভব? মেয়েদের মন কি আদৌ বিক্রয়যোগ্য, কোন টাকার অঙ্কে এটা কেনা-বেঁচা যায়?
হ্যাঁ, এ অসম্ভবকেই সম্ভব করা হয়েছে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে। বিক্রিও হয়েছে দেদারছে। অনেকেই কিনতে এসে স্টক ফুরিয়ে যাওয়ায় হতাশ হয়ে ফিরেও গেছেন। তবে হ্যাঁ, এটা বাস্তবে কোন মেয়ের মন নয়। এটা এক প্রকার পিঠা।
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে শনি ও রবিবার দুইদিন ব্যাপী জমজমাট হিম উৎসব ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের একটি স্টলে এ ব্যাতিক্রমধর্মী এ পিঠার প্রদর্শন ও বিক্রয় করা হয়।
উৎসবটি ঘিরে বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষ ও উদ্যোক্তাদের মিলন মেলায় পরিণত হয়। দুপুর ২টা হতে রাত ৮ টা পর্যন্ত চলে এ উৎসবটি। এতে মোট ২৮টি স্টল দেয়া হয়।
এর মধ্যে আগতদের বেশিরভাগই ভিড় করছেন ‘মেয়েদের মন ১০ টাকা’ পিঠার উদ্যোক্তা ঢাকাস্থ গোয়ালন্দ উপজেলা ছাত্রকল্যান সমিতির ষ্টলে। পিঠাটি খেতে এবং দেখতে দর্শনার্থীরা দুইদিন ধরেই ওই স্টলটিতে ভিড় করেন।
এ বিষয়ে স্টলের অন্যতম উদ্যোক্তা ঢাকাস্থ গোয়ালন্দ উপজেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির সভাপতি শেখ আয়নাল আহসান বলেন, আমাদের স্টলে অনেক ধরনের পিঠার মধ্যে ব্যতিক্রমী একটি পিঠা রেখেছি, ‘মেয়েদের মন ১০ টাকা’। মূলত এটা দেখতেই মানুষ আমাদের স্টলে বেশি ভিড় করে।শুধুমাত্র মজা ছলেই এ ধরনের নামকরণ করা। তবে পিঠাটি বেশ সুস্বাদু ছিল বলে দর্শনার্থীরা জানান।
উৎসবের উদ্যোক্তা “স্টুডেন্ট কমিউনিটি গোয়ালন্দ” এর কয়েকজন সদস্য জানান, আমাদের দেশীয় ঐতিহ্যবাহী নানা ধরনের পিঠাপুলি, আচার, হস্তশিল্প, লাইব্রেরী, অর্গানিক ফুড, ফুল ও কুটির শিল্পের বাহারি পসরা উৎসবে স্হান পায়। এছাড়া ছিল,গান কবিতা আবৃত্তি সহ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
দুইদিনেই নানা বয়সের শতশত মানুষ উৎসবটি উপভোগ করেন। সবাই অনেক মজা করেছেন। আমরা এ ধরনের আয়োজন করতে পেরে খুবই আনন্দিত।
শনিবার গোয়ালন্দ সরকারি কামরুল ইসলাম কলেজ প্রাঙ্গণে উৎসবটির উদ্বোধন করেন গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নাহিদুর রহমান।
তিনি বলেন, দেশীয় ঐতিহ্যবাহী এই আয়োজনটি খুবই প্রশংসনীয় একটি কাজ। আমি এর উদ্যোক্তাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি।