স্টাফ রিপোর্টার
বাগেরহাটের চিতলমারীতে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক-২০২৫ প্রতিযোগিতায় ইউনিয়ন পর্যায়ে ব্যাপক অনিয়ম ও স্বজন প্রীতির অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে শিশির মজুমদার নামে এক অভিভাবক উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এ অবস্থায় উপজেলা পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় নিরপেক্ষ বিচার নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা হতাশা বিরাজ করছে।
অভিযোগ পত্রে জানা গেছে, শিশির মজুমদারের ছেলে সনেট মজুমদার চরবানিয়ারী ইউনিয়নে খলিশাখালি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে বালক খ বিভাগে গান ও নৃত্যে অংশ গ্রহণ করেন। প্রতিযোগিতায় নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য বিচারের জন্য ৫ জন বিচারকের কথা থাকলেও ৩ জন শিক্ষক দিয়ে নৃত্যের বিচার কার্য সম্পাদন করা হয়। তারাপক্ষপাতিত্ব করে জেলা পর্যায়ে দুইবার এবং বিভাগীয় পর্যায়ে একবার অংশগ্রহণকারী সনেটকে দ্বিতীয় স্থান দিয়েছেন।
যা উপস্থিত শিক্ষক ও অভিভাবকরা মেনে নিতে পারেননি। তাই তিনি উক্ত নৃত্য প্রতিযোগিতা পুনরায় নিরপেক্ষ ভাবে মূল্যায়নের দাবি জানান। এ ছাড়া ওই ইউনিয়নের এক শিক্ষকের ছেলে ছবি অংকন প্রতিযোগিতায় বাড়ি থেকে ছবি এঁকে এনে জমা দেয়। এ নিয়েও তুমুল হট্টগোল হয়।
কতিপয় প্রধান শিক্ষকের তোষামোদির কারণে কর্মকর্তারাও কিছু বলেন না। তাই আগামী ২৪ ও ২৫ ফেব্রæয়ারী উপজেলা পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় নিরপেক্ষ বিচার নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদেও মধ্যে আস্তার সংকট সৃষ্টি হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা তপন কুমার দেবনাথ জানান, শিশির মজুমদারের অভিযোগটি পেয়েছি। বিচারক সল্পতার কারণে ওই তিন শিক্ষককে নৃত্যের বিচার করতে দেওয়া হয়েছিল। তাদের রায়ই চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত। যে শিক্ষকের ছেলে বাড়ি থেকে ছবি এঁকে নিয়ে গিয়েছিল তার ছবি বাতিল করা হয়েছে।
তবে, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা অচ্যুতানন্দ দাস বলেন, ‘আমি কোন অভিযোগ পাইনি। তবে উপজেলা পর্যায়ের প্রতিযোগিতা নিরপেক্ষ ভাবে মূল্যায়নের ব্যবস্থা করব।’