যবিপ্রবি প্রতিনিধি,রায়হান আহমদ
বিএসসি প্রকৌশলীদের চাকরিতে বৈষম্য নিরসনের দাবীতে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) বিক্ষোভ মিছিলটি স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে যবিপ্রবির বিভিন্ন রাস্তাসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
বিক্ষোভ মিছিলে শিক্ষার্থীরা, “আমাদের অঙ্গীকার, প্রকৌশলীর অধিকার”, “প্রকৌশলীর সকল পদ, শুধুই প্রকৌশলীদের অধিকার”, “কোটার নামে অবিচার, চলবে না, চলবে না”, ” উপ সহকারী প্রকৌশলী পদে ন্যায় চাই, বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারের অধিকার চাই”, “এ মুহুর্তে দরকার প্রকৌশল খাতের সংস্কার”, “মেধার মর্যাদা রক্ষা করো, রক্ষা করো”, “কোটার নামে অবিচার, বন্ধ করো, বন্ধ করো”, “চাকরির বাজার মুক্ত চাই, কোটার নামে শোষণ নাই” ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকে।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীরা দেশে যে নৈরাজ্য, বিশৃঙ্খলা ও জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করছে, তা অতি দ্রুত বন্ধ করতে হবে এবং প্রশাসনের উচিত দ্রুত তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা। আজ আমরা ক্লাসরুম ছেড়ে মানববন্ধন করতে বাধ্য হয়েছি, কারণ ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীরা টেকনিশিয়ান হয়েও নিজেদের ইঞ্জিনিয়ার বানানোর যে অযৌক্তিক স্বপ্ন দেখছে, সেটিকে প্রতিহত করার জন্য এবং প্রকৌশলীদের সম্মান রক্ষার জন্য আজ আমরা এখানে দাঁড়িয়েছি।অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আমাদের আকুল আবেদন, তারা যেন দ্রুত এই বিষয়টির সুষ্ঠু নিষ্পত্তি করে। আমাদের যে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন রয়েছে, তাদের প্রতি আমাদের একটাই কথা—আপনারা ইঞ্জিনিয়ারদের অধিকার রক্ষার প্রতিষ্ঠান; সুতরাং প্রকৃত ইঞ্জিনিয়ারদের অধিকার আপনারাই রক্ষা করবেন।
এসময় প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন ড. ইঞ্জি. মো: আমজাদ হোসেন বলেন, ডিপ্লোমা ডিগ্রীধারীদের কোটার আশ্রয় না নিয়ে বরং ৯ম গ্রেডে প্রতিযোগিতা করে পরীক্ষা দিয়ে চাকরি পাওয়ার জন্য আহবান জানাচ্ছি। এছাড়াও ১০ম গ্রেডে অবশ্যই বিএসসি প্রকৌশলীদেরকে পরীক্ষা দেওয়ার অধিকার দিতে হবে।
উল্লেখ্য, সমাবেশে উত্তাপিত দাবিগুলো হলো, ইঞ্জিনিয়ারিং ৯ম গ্রেডে সহকারী প্রকৌশলী বা সমমান পদে প্রবেশের জন্য সবাইকে পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে এবং বিএসসি ডিগ্রিধারী হতে হবে। কোটার মাধ্যমে কোনো পদোন্নতি নয়, এমনকি অন্য নামেও সমমান পদ তৈরি করেও পদোন্নতি দেয়া যাবে না। টেকনিক্যাল ১০ম গ্রেডে উপ-সহকারী প্রকৌশলী বা সমমান পদ সবার জন্য উন্মুক্ত করতে হবে অর্থাৎ ডিপ্লোমা ও বিএসসি উভয় ডিগ্রিধারীকে পরীক্ষার সুযোগ দিতে হবে। ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বিএসসি ডিগ্রি ছাড়া কেউ ইঞ্জিনিয়ার পদবি ব্যবহার করতে পারবেনা, এই মর্মে আইন পাশ করে গেজেট প্রকাশ করতে হবে।