মোঃ আসাদুজ্জামান আসাদ,স্বরূপকাঠি প্রতিনিধিঃ
সংবাদ সন্মেলনের আয়োজন করে হাজির হননি ১০ নং সারেংকাঠি ইউপির চেয়ারম্যান সতন্ত্র প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ সায়েম।১৫ জুন মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় স্বরূপকাঠি উপজেলা পরিষদের অডিটরিয়ামে সংবাদ সন্মেলনের আয়োজন করেন পৌর মেয়র ও পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি জি এম কবির ও সতন্ত্র উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল হক।সংবাদ সন্মেলনে ১২ টা ১০ মিনিটে এ দুই নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির সাথে উপস্থিত ছিলেন স্বরূপকাঠি উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এডভোকেট মোঃ হামিদ, উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারন সম্পাদক এডভোকেট মোঃ ফুয়াদ হোসেন,সারেংকাঠি ইউপি আওয়ামীলীগের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক রেজাউল কবির এবং ১ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি হারুন হাওলাদার।
১ ঘন্টা দেরিতে শুরু হওয়া সংবাদ সন্মেলনে পিরোজপুর জেলা আওয়ামীলীগের সন্মানীত সদস্য, স্বরূপকাঠি পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি ও স্বরূপকাঠি পৌর মেয়র জি এম কবির সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন। এসময় তিনি বলেন আমরা এখানে হাজির হয়েছি সারেংকাঠি ইউপি আওয়ামীলীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান সায়েমের অনুরোধে।।সায়েম নির্বাচন থেকে সরে দাড়াবেন বলে আমাদের জানান।সে কারনে সায়েম এর সিদ্ধান্তে আজকের এই সংবাদ সন্মেলনের আয়োজন। উনি পথেই আছেন কিছু সময়ের মধ্যে এখানে এসে নৌকা মার্কার সমর্থনে প্রার্থী নজরুল ইসলামকে বিজয়ী করার লক্ষে নির্বাচন থেকে সরে দাড়ানোর ঘোষনা দিবেন।এ ঘটনার আধাঘন্টা পরেও চেয়ারম্যান সায়েম সন্মেলনকক্ষে না আসায় সংবাদ সন্মেলন শেষ করা হয়। বিষয়টি নিয়ে সভাপতি এডভোকেট আব্দুল হামিদ ও সাধারন সম্পাদক এডভোকেট ফুয়াদ হোসেন বলেন নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার ব্যাপারে সায়েম কিছুই জানাননি আমাদের। তবে আমরা তৃতীয় পক্ষ থেকে খবর পেয়ে ওখানে এসেছি।
বিষয়টি নিয়ে সায়েম এ প্রতিনিধিকে বলেন ওখানে এসে সুস্ঠু নির্বাচনের লক্ষে সাংবাদিকদের নিয়ে আলোচনা করার কথা ছিলো।আমার নির্বাচন থেকে সরে দাড়ানোর ব্যাপারে কোনো কথা উপজেলা চেয়ারম্যান সহ কারো সাথে হয়নি। দুপুর ১ টার দিকে আমার কর্মীদের নৌকা মার্কার কর্মিরা মারধর করায় আমি আর সংবাদ সন্মেলনে হাজির হতে পারিনি।
সায়েমের এ বক্তব্যের ব্যাপারে পৌর মেয়র জি এম কবির বলেন গত সোমবার রাত ১১টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল হকের সুটিয়াকাঠির বাড়িতে সায়েমের উপস্থিতিতেই সমস্ত আলোচনা হয়।আর এ আলোচনায় সারেংকাঠি ইউপির ৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি হারুন হাওলাদার ও সারেংকাঠি ইউপি আওয়ামীলীগের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক রেজাউল মধ্যস্ততা করেন।যারা সংবাদ সন্মেলনে কক্ষেও উপস্থিত ছিলেন। হক সাহেবের ঘরে বসেই সায়েমের মতামতেই এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।এখন সায়েম মিথ্যার আশ্রয় নিচ্ছে।
এ ব্যাপারে জানার জন্য উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল হকের মোবাইলে ফোন দিলে তিনি মিটিংএ আছেন বলে সংযোগ কেটে দেন।