মোঃ জিহাদুল ইসলাম, নড়াইল প্রতিনিধিঃ
বৈশ্বিক করোনার সংক্রমন এড়াতে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ ৩০ জুন ১জুলাই থেকে ৭জুলাই পর্যন্ত ৭দিনে কঠোর লকডাউনের একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেন, যাহা বিভিন্ন গনমাধ্যমে প্রচারিত হয়। নড়াইলের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে ওইদিনই জেলা প্রশাসক নড়াইলের সংক্রমনের পরিস্থিতি বিবেচনা করে আরেকটি প্রজ্ঞাপন জারি করেন যাহা শুধু নড়াইলের জন্য প্রযোজ্য। উপজেলা প্রশাসন বার বার সর্বসাধারণের অবগতির জন্য জনসম্মুখে ও সোসাল মিডিয়ায় বিষয়টি পরিস্কার করেছেন। তবুও উপজেলার বিভিন্ন বাজারে কিছু ব্যবসায়ীদের মধ্যে মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ প্রদত্ত প্রজ্ঞাপনের গুরুত্ত্বারোপ লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
কঠোর লকডউনের ১ম দিনে অতি বৃষ্টি প্রশাসনের সহযোগী হিসাবে কাজ করেছে। কিন্তু ২য় দিনে সুবিধা হওয়ার সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীরা হয়ে উঠেছে বেপরোয়া। নড়াগাতী থানার পুটিমারী বাজার বরাবরই খুব ভোরে বসে, সেখানে কাঁচা বাজারে মানা হচ্ছেনা সামজিক দুরত্ব পাশাপাশি সমস্ত মুদি দোকান এবং হোটেল রেস্তোরা খোলা রেখে ভিতরে নাস্তার আয়োজনও লক্ষ্য করা গেছে। খাশিয়াল বাজারের ও ওই একই অবস্থা। বড়দিয়া বাজারে হোটেল খোলা রেখেছে এবং ভিতরে খাবার পরিবেশন চলছে বেশীরভাগ ব্যবসায়ীরা দোকান খুলে দিয়েছে, যেন লকডাউনের কোন বালাই নেই। লকডাউনে উপজেলার বড়দিয়া, খাশিয়াল, পহরডাঙ্গা ও বাগুডাঙ্গা বাজারে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কোন কঠোর ভাব পরিলক্ষিত হয়নি।
লকডাউনের তৃতীয় দিনে (শনিবার) বড়দিয়ায় হাট বসে, প্রজ্ঞাপনে হাট নিষিন্ধ করা হলেও নির্দেশনা মানছেনা সাধারণ মানুষ, কিছু কিছু ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান খোলা রেখেছে, থেমে নেই বড়দিয়া-মহাজন খেয়া পারাপার। সকাল পৌনে ১১টায়ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোন উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়নি। দেদারছে চলছে হাটের বেচাকেনা, যেন ঈদের হাট বসেছে। সংক্রমনের আশংকায় সচেতন মহল। তারা জানান, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ১১/১২ টার দিকে একবার টহল দিয়ে চলে যায় এবং আসার সময় অনেক দুর থেকে সাইরেন বাজাতে থাকে, এতে ব্যবসায়ীরা ঘর বন্ধ করে সাইডে সরে যায় এবং চলে গেলে আবার খুলে দেয়। এ যেন চোর-পুলিশ খেলা। ভোর থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত বেশীর ভাগ বাজারেই খোলা থাকে চায়ের দোকান পাশাপাশি চা পিপাসুদের আড্ডাও চলে বেশ।
প্রজ্ঞাপনে ইঞ্জিন চালিত সকল প্রকার যানবহন চলাচল বন্ধ রাখার কথা থাকলেও ইজিবাইক ও ইজিভ্যান যথারীতি চলাচল করছে, সাধারণ মানুষ অহেতুক বাজার এলাকায় আড্ডা মারছে, এ যেন প্রশাসনের সাথে তারা লুকোচুরী খেলা।
এলাকার সচেতন মহল মনে করেন, আত্মসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রশাসনকে সময়যোপযোগী এবং আরো কঠোর অবস্থানে যেতে হবে এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের প্রশাসনের সাথে সহায়ক ভুমিকা রাখতে হবে নতুবা সংক্রমন থেকে আমরা কেউই রক্ষা পাবোনা।