বাকেরগঞ্জ (বরিশাল) প্রতিনিধি
বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার ৯নং কালশকাঠি ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানে আরিফুল করিম দুলালের বিরুদ্ধে সরকারি ভিজিডি চাল নিয়ে চালবাজির গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আরিফুল করিম দুলাল ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহবায়কের প্রভাব খাটিয়ে চাল কম দিচ্ছে। কেহ প্রতিবাদ করলে তাকে ভয় ভিতি দেখায় দুলাল। সবাই বলেন সরকারের নিয়ম অনুযায়ী প্রতিটি উপকারভোগী পরিবারকে প্রতি মাসে ৩০ কেজি করে চাল দেওয়ার কথা থাকলেও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে উপকারভোগীদের হাতে ২৭ কেজি সারে ২৭ কেজি করে চাল তুলে দেন। এতে প্রতিটি পরিবার আরাই থেকে ৩ কেজি করে চাল কম পাচ্ছে। ফলে প্রকৃত সুবিধাভোগীরা বঞ্চিত হচ্ছেন।
স্থানীয় ভুক্তভোগীরা জানান, সরকারের দেওয়া চাল সাধারণ মানুষের জন্য হলেও তা সঠিকভাবে তাদের হাতে পৌঁছাচ্ছে না। বরাদ্দ থেকে কৌশলে চাল কেটে নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ তাদের। তারা আরও বলেন, দরিদ্র ও অসহায় মানুষের প্রাপ্য চাল কেড়ে নেওয়া মানবতাবিরোধী কাজ।
এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে ব্যাপক ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয় সচেতন মহল বলছে, এভাবে সরকারি সহায়তা কর্মসূচিতে অনিয়ম হলে গরিব ও অসহায় পরিবারগুলো বঞ্চিতই থেকে যাবে।
চাল বিতরনের তদারকি অফিসারের অনুপস্থিতিতে চাল দেওয়া হচ্ছে এমন সংবাদ পেয়ে সংবাদকর্মীরা ঘটনাস্তলে গেলে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সৈয়দ আরিফুল করিম দুলাল চাল দেওয়া বন্ধ করে সটকে পরেন। এসময় উপকারভোগী পরিবারের চাল পরিমাপ করলে তাতে আরাই থেকে ৩ কেজি চাল কম পাওয়া যায়। কম চাল দেওয়ায় উপকার ভোগী ও স্থানীয়রা ক্ষোব প্রকাশ করেন।
তদারকি কর্মকর্তা সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোজাম্মেল হোসেন জানায়, শুক্রবার চাল দেওয়ার বিষয়ে তিনি জানেন না। শুক্রবারে চাল দেওয়া হলে বা কম দেওয়া হলে তার দায়ভার তিনি নিবেন না। তার অনুপস্থিতিতে চাল দেওয়ার বিষয়টি উর্ধতন কতৃপক্ষকে অবহিত করবেন।
তদারকি কর্মকর্তার অনুপস্থিতিতে চাল বিতরণ ও কম চাল দেওয়ার বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সৈয়দ আরিফুল করিম দুলাল বলেন চাল ৩০ কেজি দেওয়ার সুজুগ নাই। ২৭-২৮ কেজির বেশি চাল দিবোনা আপনারা যা পারেন করেন। এসময় সাংবাদিকদের উপর তেরে আসেন দুলাল।
এবিষয়ে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শামিম পারভেজ বলেন, চাল কম দিলে আমি কি করবো, আপনারা গিয়া ধরেন। প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানাতে পারবো। তদন্ত করে দেখতে পারবো।
এ বিষয়ে দ্রুত তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসী। পাশাপাশি উপজেলা প্রশাসন, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এবং উপজেলা নিরাপদ খাদ্য দপ্তরের কঠোর তদারকির দাবি তুলেছেন তারা।