1. nabadhara@gmail.com : Nabadhara : Nabadhara ADMIN
  2. bayzidnews@gmail.com : Bayzid Saad : Bayzid Saad
  3. bayzid.bd255@gmail.com : Bayzid Saad : Bayzid Saad
  4. mehadi.news@gmail.com : MEHADI HASAN : MEHADI HASAN
  5. jmitsolution24@gmail.com : support :
  6. mejbasupto@gmail.com : Mejba Rahman : Mejba Rahman
শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৪০ অপরাহ্ন

নড়াইলে মধুমতির ভাঙ্গন তীব্র আকার ধারণ; অর্ধ শতাধিক বসত ভিটা ও ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন

Reporter Name
  • প্রকাশিতঃ মঙ্গলবার, ১০ আগস্ট, ২০২১
  • ৩১৯ জন নিউজটি পড়েছেন।

শরিফুল ইসলাম (স্টাফ রিপোর্টার) নড়াইলঃ

নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় মধুমতি নদী ভাঙ্গনে নদী তীরবর্তী মাকড়াইল, চরবকজুড়ি, তেতুলিয়া, লঙকারচর ও ঘাঘা গ্রামের একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ অর্ধশত বসতবাড়ি ও ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড এসব ভাঙ্গন পয়েন্টে গত বছরে জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙ্গন প্রতিরোধ প্রকল্প গ্রহন করলেও চলতি বর্ষা মওসুমের আগে কাজ শেষ না করায় নদীভাঙ্গন অব্যাহত রয়েছে।

গতকাল শনিবার (৭ আগস্ট) বিকালে নদী ভাঙ্গন কবলিত তেতুলিয়া-চরবকজুড়ি এলাকায় সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়-তেঁতুলিয়া গ্রামটি কয়েক বছর আগেই উপজেলার মানচিত্র থেকে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। গ্রামের সচ্ছল বাসিন্দারা গ্রাম ছেড়ে শহরে চলে গেলেও দরিদ্র জনগোষ্ঠী পাশের কৃষি জমিতে বসত বাড়ি নির্মান করে বসবাস শুরু করলেও সেখানেও ভাঙ্গন শুরু হয়েছে।

গত এক সপ্তাহের মধ্যে ওই গ্রামের হারুন মোল্যা , ইউনুস শেখ , সাহেদ আলী, সুরুজ মোল্যা , জব্বার মোল্যা ও আকিরণ বেওয়ার বসতবাড়ি নদীগর্ভে বিলীণ হয়েছে। এছাড়া একইস্থানে আরো কয়েকটি বসতবাড়ির বাসিন্দারা ভাঙ্গণ আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। যেকোন সময়ে ওইসব বাড়ি নদীতে ভেঙ্গে যেতে পারে।

ওই গ্রামের বাসিন্দা মাসুদ মোল্যা জানান, বসতবাড়ি ছাড়াও অনেক কৃষি জমি নদীতে ভেঙ্গে গেছে। বারবার বসতবাড়ি স্থানান্তর করা দরিদ্র কৃষক পরিবারের জন্য অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এদের অন্তরের চাপা কষ্ট দেখার কেউ নেই।
এদিকে গত ২০২০-২১ অর্থবছরে মাকড়াইল, শিয়রবর হাট সংলগ্ন এলাকা ও ঘাঘা গ্রামে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে মধুমতি নদী ভাঙ্গন রোধে জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙ্গন রোধ প্রকল্প গ্রহন করা হয়। কিন্তু ওই স্থানে নদীভাঙ্গন রোধের কাজ সময় অনুযায়ী শেষ না করার ফলে ভাঙ্গন অব্যাহত রয়েছে বলে স্থানীয় লোকেরা জানিয়েছে। মাকড়াইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি কিছু অংশ ভেঙ্গে যাওয়ার পর বালির বস্তা ফেলে কোন রকমে টিকিয়ে রাখা হয়েছে।

শিয়রবর এলাকার মধূমতি নদী ভাঙ্গন প্রতিরক্ষা কমিটির সভাপতি সৈয়দ আশরাফ আলী জানিয়েছেন, শিয়রবরে নদীভাঙ্গণ রোধে একটি প্রকল্প গ্রহন করা হয় অথচ বর্ষা মওসুমের আগে ভাঙ্গন রোধের কাজ শেষ পর্যায়ে থাকার কথা থাকলেও ২৫% কাজ হয়েছে কিনা সন্দেহ, নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় প্রবল স্রোতের কারনে আবারও ভাঙতে শুরু করেছে। ঠিকাদারের গাফিলতি আর নড়াইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের অবহেলার কারনে শেষ সম্বল হারাতে বসেছে এলাকাবাসী । তারা নদী ভাঙ্গন রোধের কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য কার্যকরি ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি অনুরোধ জানালেও তারা আমলে নিচ্ছে না।

অপর নদী ভাঙ্গণ কবলিত ঘাঘা গ্রামের বাসিন্দা ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সেক্রেটারী আসলাম হোসেন টুটুল জানান, নব্বই হাজার জিও ব্যাগ ফেলার কথা থাকলেও ফেলা হয়েছে মাত্র ২০ থেকে ২১ হাজার ব্যাগ। কাজের সাইডে জি,ও ব্যাগ রয়েছে অথচ তা ভাঙ্গন পয়েন্টে বসানো হচ্ছে না। নদী ভাঙ্গনের ফলে সর্বশেষ আশ্রয়স্থল টুকু আবারও মধুমতি নদীগর্ভে হারানোর ভয়ে গ্রামবাসী চরম আতংকের মধ্যে রয়েছে। এলাকাবাসী জরুরী ভিত্তিতে নড়াইল- ২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মুর্তজার হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।

নড়াইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী উজ্জল কুমার সেন জানান, কাজের মেয়াদ তিন বছর তা ছাড়া বর্তমানে ফান্ড নেই তাই কাজ বন্ধ। তাছাড়া বর্ষা মওসুমে সাধারণত কাজ করা হয় না।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved সর্বস্বত্বঃ দেশ হাসান
Design & Developed By : JM IT SOLUTION