পটুয়াখালী প্রতিনিধি
পটুয়াখালীতে বাজারের ইজারা নিয়ন্ত্রনকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ৫ পুলিশসহ ১০জন আহত হয়েছে। স্থানীয় এক যুবকের অবস্থা আশংকাজনক। এলাকায় সেনাবাহিনী র্যাব ও পুলিশের যৌথ অভিান চালিয়ে ৩ জনকে আটক করেছে । এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। বুধবার রাতে পটুয়াখালী সদর উপজেলার লোহালিয়া ইউনিয়নের পালপাড়া বাজারে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
স্থানীয়রা ও পুলিশ জানায়, লোহালিয়া ইউনিয়নের পালপাড়া বাজারের ইজারা দার বিএনপি নেডা মফুজুল ও বিএনপি নেতা সোহাগ মাঝি গ্রুপের মধ্যে প্রতাবপুর পালপাড়া বাজারের ইজারাকে কেন্দ্র করে বুধবার রাতে দু’পক্ষের এ সংঘর্ষ হয়। রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের খবর পেয়ে পটুয়াখালী থানা পুলিশ ঘটনাস্থালে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টা করে।
এসময় পুলিশের উপর হামলার ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ বেশ কয়েক রাউন্ড ফাকাগুলি ছুড়ে। এ সংঘর্ষে পুলিশের এএসআই জহির, এস আই আবদুর রহমান, কনস্টেবল মহিবুল্লাহ, মোঃ রানা ও সাইফুল ইসলামকে আহত অবস্থায় পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া আশঙ্কাজনক অবস্থায় মফিজুল নামের এক ব্যক্তিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রেরন করা হয়েছে।
বাকি আহতরা গ্রেপ্তার এড়াতে আত্ম গোপনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে এক প্রত্যকৃষদর্শী জানান। এদিকে পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় বৃহস্পতিবার সকালে আমিনুল হক চৌধুরী (৪৫), পলাশ হাওলাদার(২৫) ও রমজান আলী (৬৫) নামের তিনজনকে আটক করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, পালপাড়া বাজারের ইজারা নিয়ে পূর্ব শত্রুতার জেরে ওই এলাকার সোহাগ মাঝি ও তার সঙ্গীরা প্রতিপক্ষ স্থানীয় বিএনপি নেতা মফিজুলকে দা ও চল দিয়ে এলোপাথারি কুপিয়ে মারাত্বক জখম করে। এঘটনায় দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টা করলে সন্ত্রাসী পুলিশের উপর হামলা চালায়। এতে ৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়।
পরে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌছে এবং পুলিশ ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
পটুয়াখালী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ইমতিয়াজ আহম্মেদ সাংবাদিকদের জানান, হাটের ইজারাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষ ঘটতে পারে এমন খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে পুলিশের উপর হামলা করা হয়, এতে পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হন। পরে অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
এ ঘটনায় এ পর্যন্ত তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আহতদের পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।