গৌরনদী ( বরিশাল ) প্রতিনিধি
জনসাধারণের দূর্ভোগ লাঘবে গৌরনদী পৌরসভায় দ্রুত ডাম্বিং ষ্টেশন তৈরীর পরিকল্পনা হাতে নেওয় হয়েছে।
আলাদা ডাম্বিং ষ্টেশন তৈরী করে সেখানে পৌরসভার ময়লা-আবর্জনা ফেলা হবে।
পৌরসভা সুত্রে জানা গেছে, গৌরনদী উপজেলায় ১৭ বর্গ কিলোমিটার নিয়ে ১৯৯৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় গৌরনদী পৌরসভা। যা পরবর্তীতে ২০০৯ সালের ১১ নভেম্বর প্রথম শ্রেনীতে উন্নিত করা হয়। পৌর নাগরিক কমিটির সভাপতি জহুরুল ইসলাম জহির বলেন, ‘পৌর সভা প্রতিষ্ঠার পর থেকেই পৌরসভায় ডাম্বিং ষ্টেশন না থাকায় অপরিকল্পিতভাবে দিনের পর দিন পৌরসভা বিভিন্ন এলাকা থেকে বাসা বাড়ি, কারখানা ও বাজারের ময়লা ফেলা হয় দেশের অন্যতম ব্যস্ততম বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের নিলখোলা সহ বিভিন্ন স্থানে যত্রতত্র ময়লা ফেলছে। মহাসড়কের নিলখোলায় আশিংক দখল করে ময়লা ফেলার কারনে এটি এখন ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা রানা দেওয়ান বলেন, ‘এসব ময়লার স্তূপ থেকে বের হওয়া উৎকট দুর্গন্ধ ও ধোঁয়ায় চরম বিপাকে পড়ছেন পথচারী আমরা স্থানীয়রা। তাছাড়া পাশেই রয়েছে বসতবাড়ী, নিলখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আনোয়ারা প্রি-ক্যাডেট স্কুল, টরকী বন্দর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বালিকা বিদ্যালয়, দক্ষিণাঞ্চলের বৃহত্তর টরকী বন্দর, নিলখোলা পাইকারী পানের হাট সহ কয়েকটি মাদরাসা। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের পাশাপাশি পথচারীদের নাকে কাপড় চেপে চলাচল করতে হয়। ময়লার দুর্গন্ধ ও ধোঁয়ায় ছাত্র-ছাত্রীসহ আশপাশের অনেকেই বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। ময়লার ভাগাড়টি জনবসতি এলাকা থেকে অন্য স্থানে সরিয়ে নেয়ার দাবী এ অঞ্চলের বাসিন্দাদের’।
শিশু শিক্ষার্থী তানিয়া আক্তার জানান, মহাসড়কের পাশে ময়লার ভাগারের পাশ দিয়ে তাদের প্রতিদিন স্কুলে যাওয়া আসার সময় দুগর্ন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে উঠে। অনেক সময় তীব্র গন্ধে বমি করে দেয়।
সুন্দরদী মহল্লার বৃদ্ধ হাবিব সিকদার বলেন. ‘ ময়লার দুগর্ন্ধে আমার শ্বাষ কষ্ট বেড়ে যায়। যার কারণে আমি ্ওষধ কিনতে টরকী পর্যন্ত যাই না। খোলাস্থান এবং জনবহুল স্থানে পৌরসভার এসব ময়লা ফেলায় বাতাসে ছড়াচ্ছে জীবাণু, বাড়ছে স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি। জনস্বার্থে এসব ময়লা সরিয়ে নেয়ার দাবি জানাই।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌর প্রশাসক মোহাম্মদ ইব্রাহীম বলেন, ‘জনসাধারণের দূর্ভোগ লাঘবে দ্রুত নতুন জায়গা দেখে ডাম্বিং ষ্টেশন তৈরীর পরিকল্পনা নেয়া হবে’।