গিয়াস উদ্দিন মিয়া, গৌরনদী (বরিশাল) প্রতিনিধি
বরিশালের গৌরনদী উপজেলার খাঞ্জাপুর গ্রামে সন্তানের স্বীকৃতি চাইতে গিয়ে প্রেমিক পরিবারের হামলার শিকার হয়েছেন তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক তরুণী (১৯)। এ ঘটনায় বুধবার দুপুরে অন্তঃসত্ত্বা ওই তরুণী চার জনের নাম উল্লেখ সহ আরো অজ্ঞাত নামা ৭ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন।
মামরার এজহার সূত্রে জানা যায়, একই গ্রামের মোখতার শরীফের ছেলে ইসমাঈল শরীফের সঙ্গে প্রায় চার বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল ওই তরুণীর। কিছুদিন আগে পরিবারের পছন্দে তার অন্যত্র বিয়ে হয়। বিয়ের পরপরই স্বামী প্রবাসে চলে গেলে ইসমাঈল পুনরায় তার সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করে।
নির্যাতিতা তরুণী জানান, ইসমাঈল বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে এবং সেই দৃশ্য গোপনে মোবাইল ফোনে ধারণ করে রাখে। পরবর্তীতে সম্পর্ক রাখতে অস্বীকৃতি জানালে ধারণকৃত ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। এতে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে বাধ্য হয়ে তিনি সম্পর্ক চালিয়ে যেতে থাকেন। একপর্যায়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে সন্তানের স্বীকৃতি ও বিবাহের দাবিতে মঙ্গলবার (১৪ অক্টোব্বর) দুপুরে ইসমাঈলের বাড়িতে যান তিনি।
নির্যাতিতা ওই তরুণী বলেন , ‘আমি সন্তানের স্বীকৃতি চাইতেই ইসমাঈলের বাড়িতে যাই। কিন্তু সেখানে পৌঁছাতেই ইসমাঈলের ভগ্নিপতি আবু বকরের নেতৃত্বে পরিবারের সদস্যরা আমার ওপর হামলা চালায়। আমার আত্মচিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে আমাকে উদ্ধার করেন’।
অভিযুক্ত ইসমাঈল শরীফের সঙ্গে মুঠো ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। তবে তার ভগ্নিপতি আবু বকর হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘তরুণী আমার শ্বশুর বাড়িতে এসে অশান্তি সৃষ্টি করেছে’।গৌরনদী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আমির হোসেন বলেন, ‘ মসঙ্গলবার বিকেলে নির্যাতিতা ওই তরুণীর লিখিত পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যতা পাই।
গৌরনদী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘ বুধবার দুপুরে ওই তরুণী চার জনের নাম উল্লেখ সহ আরো অজ্ঞাত নামা ৭ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের জোর প্রচেষ্টা চলছে’।