নিজস্ব প্রতিবেদক বাবুগঞ্জ,বরিশাল
বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার রহমতপুর ইউনিয়নের লোহালিয়া গ্রামে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে নারীসহ অন্তত ৭ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে চারজনকে গুরুতর অবস্থায় বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার (২৯ অক্টোবর) সকালে। এ ঘটনায় আহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে বাবুগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, লোহালিয়া গ্রামের মৃত আলমাস বেপারীর ছেলে বজলুল হক ব্যাপারীর সঙ্গে একই গ্রামের জালাল ফকিরের ছেলে মোহাম্মদ শহীদ ডাক্তার-এর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। সেই বিরোধের জের ধরে বুধবার সকালে শহীদ ডাক্তার পরিবারের সদস্যরা বসতঘরের পাশের বাগানে গাছের পাতা কুড়াতে গেলে বজলুল হক ব্যাপারীর বোন ইয়ানূর বেগম ও তার মেয়েরা বাধা দেন। একপর্যায়ে উভয়পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয় এবং তা দ্রুত সংঘর্ষে রূপ নেয়।
সংঘর্ষে শহীদ ডাক্তার পরিবারের মোছাঃ শাহিনুর বেগম (৩৫), মাহিনুর বেগম (৪৫), সাহারা আক্তার (২০) গুরুতর আহত হন। এর মধ্যে শাহিনুর ও মাহিনুর বেগমকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অন্যদিকে বজলু ব্যাপারীর স্ত্রী জেসমিন আক্তার (৩৫), বোন ইয়ানূর বেগম (৪৬), মেয়ে ফারজানা আক্তার (১৮) ও প্রতিবেশী সখিনা বেগম (৪৫) গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদেরও চারজনকে একই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
বজলু ব্যাপারী অভিযোগ করে বলেন, “বিরোধপূর্ণ জমিতে শহীদ ডাক্তার পরিবারের লোকজন পাতা কুড়াতে গেলে নিষেধ করি, তখন তারা আমাদের উপর হামলা চালায়
অন্যদিকে শহীদ ডাক্তার বলেন, বজলু ব্যাপারীর পরিবার দীর্ঘদিন ধরে আমাদের হয়রানি করে আসছে। আজকের ঘটনাও তারই ধারাবাহিকতা।
বাবুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ জহিরুল আলম বলেন, দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয় এলাকাবাসীর দাবি, দীর্ঘদিনের জমি সংক্রান্ত বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধান না হলে এ ধরনের সংঘর্ষ ভবিষ্যতে আরও বড় আকার ধারণ করতে পারে।

