দুমকি (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
র্যাগিং এবং অনৈতিক কর্মকাণ্ডে সরাসরি সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) কৃষি অনুষদের তিনজন শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে প্রশাসন ‘শূন্য সহনশীলতা’ নীতি অনুসরণ করছে বলে জানিয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ জিয়াউর রহমান হল-১ এ ২০২৫ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি রাতে কৃষি অনুষদের প্রথম (২০২৩-২৪) সেমিস্টারের কিছু শিক্ষার্থীর ওপর র্যাগিংয়ের ঘটনা ঘটে। এই নিন্দনীয় ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। শৃঙ্খলা কমিটির সিদ্ধান্ত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটির ৪১তম সভার সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে গত ৯ অক্টোবরের সভা শেষে বুধবার (২৯ অক্টোবর) রেজিস্ট্রার দপ্তর থেকে অফিস আদেশ জারি করা হয়।
বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের পরিচয় ও শাস্তি আদেশে বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের নাম ও শাস্তি, ফারহান ইসরাক খান (কৃষি অনুষদের ৪র্থ র্যাগিংয়ের পরিকল্পনা, নেতৃত্ব, সহায়তা এবং শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন দুই সেমিস্টারের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার।শনাক্তকারী তথ্য: আইডি নং ২২০১১০২, রেজি নং ১১০৭৪।
নাফিউল আলম নাহিদ (কৃষি অনুষদের ৪র্থ একই ঘটনায় জড়িত থাকা।
এক সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কার। শনাক্তকারী
তথ্য: আইডি নং ২২০৪০৩৩, রেজি নং ১১৪০৮।
ফারিয়া আক্তার নাতাশা (কৃষি অনুষদের ১ম ঘটনার মূল উস্কানীদাত্রী হিসেবে মিথ্যা ‘টিজিংয়ের’ অভিযোগ তুলে র্যাগিংয়ে প্ররোচনা দেওয়া। এক সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কার। শনাক্তকারী তথ্য: আইডি নং ২৩১০১১৯, রেজি নং ১২২৮৫।
অফিস আদেশে স্পষ্টভাবে জানানো হয়, বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা তাদের শাস্তির মেয়াদকালে কোনোভাবেই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস বা আবাসিক হলে অবস্থান করতে পারবে না। ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম-এর অনুমোদনে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. ইকতিয়ার উদ্দিন স্বাক্ষরিত এই আদেশ জারি করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের একজন কর্মকর্তা জানান, র্যাগিংয়ের মতো নিন্দনীয় কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে প্রশাসন ‘শূন্য সহনশীল নীতি’ অনুসরণ করছে। শিক্ষার্থীদের জন্য একটি নিরাপদ ও সুস্থ শিক্ষাঙ্গন নিশ্চিত করতেই এই কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

