কাঠালিয়া (ঝালকাঠি) প্রতিনিধি
ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার তারাবুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১৮ জন শিক্ষক কর্মচারী সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
আজ ০৫ নভেম্বর বুধবার দুপুরে কাঠালিয়া প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক মোঃ শহিদুল ইসলাম খান। তিনি অভিযোগ করেন, বিদ্যালয় সংলগ্ন বাসিন্দা এনায়েত জমাদ্দার তারাবুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভবনের নাম মুছে এনায়েত জমাদ্দার মাধ্যমিক বিদ্যালয় নাম লিখে রাখেন। এছাড়াও এনটিআরসিয়ের নিয়োগ প্রাপ্ত তিনজন শিক্ষক, যারা হলেন, সহকারী শিক্ষক ইংরেজি রেজওয়ান হাসান, সহকারি শিক্ষক গণিত হাসান জমাদার ও ব্যবসায় শিক্ষা সিনিগ্ধা আক্তার সুমার এমপিও ভুক্তির জন্য দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার কাঠালিয়া প্রতিনিধি পরিচয়ে বাদল হাওলাদার নামের এক সাংবাদিক, এনায়েত জমাদ্দার, দেলোয়ার সিকদার ও তার লোকজন ২ লাখ টাকা চাঁদার দাবি করেন এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমিক ফেইজবুকে বিদ্যালয়ের নামে বিভিন্ন মিথ্যা প্রভাগন্ড ছড়াচ্ছেন।
দাবি কৃত টাকা না পেয়ে বিদ্যালয়ের মাঠের পাশে লাগানো বিভিন্ন প্রজাতির ফলদ ও বনজ গাছ কেটে ও ভেঙ্গে নষ্ট করে ফেলেন এনায়েত জমাদ্দার ও দেলোয়ার সিকদার। আমাকে ও নিয়োগকৃত নতুন ওই তিন শিক্ষককে বিভিন্ন মোবাইল নাম্বার দিয়ে
(০১৯১১৪৭৭৯৪৯, ০১৮৮৬৪৭৭৯৪৯ ও ০১৭৪২১৭৫৪২৮) হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে।
সম্মেলনে অফিস সহকারী মোঃ মনির হোসেন ও সহকারী শিক্ষক শিমু আক্তার জানান- যায়যায়দিন পত্রিকার পরিচয় দিয়ে মোঃ বাদল হাওলাদার আমাদের কাছ থেকে দুই বারে ৪ হাজার টাকা চাঁদা নিয়েছে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাঠালিয়াকে জানানো সত্তে¡ও ওই চাঁদাবাজ চক্র থামছেন না।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, নতুন
নিয়োগ প্রাপ্ত সহকারী শিক্ষক ইংরেজি, মোঃ রেজওয়ান, সহকারী শিক্ষক গণিত, মোঃ হাসান জমাদ্দার, সহকারী শিক্ষক শিমু আক্তার ও অফিস সহকারী মোঃ মনির হোসেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন-বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মোঃ জাকির হোসেন, সহকারী শিক্ষক মাওলানা ইব্রাহিম, বাবু তপন রায়, মোঃ ইব্রাহিম তালুকদার, বাবু রমেশ হাওলাদার, সুবেদ চন্দ্র রায়, রোজিনা আক্তার, মোসাঃ তানিয়া আফরিন, কর্মচারী মোঃ শামিম হাওলাদার, মোঃ হাসান জমাদ্দার, পুতুল রানী ও আলতাফ হোসেন।
এ ব্যাপারে এনায়েত জমাদ্দার কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, বিদ্যালয়ের ভবনের নাম তারাবুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় মুছে এনায়েত জমাদ্দার মাধ্যমিক বিদ্যালয় লিখেছিলাম, পরবর্তীতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আমার নাম (এনায়েত জমাদ্দার মাধ্যমিক বিদ্যালয়) মুছে তারাবুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নাম লেখার নির্দেশ দেন প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম খানকে।
ভবনে এখন তারাবুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নাম লেখা আছে। গাছ ভাঙ্গার কথা শিকার করেন, তবে স্কুল মাঠের জমি তার নিজের বলে দাবি করেন। চাঁদা চাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন।
এ ব্যাপারে সাংবাদিক বাদল হাওলাদারে কাছে জানতে চাইলে তিনি- চাঁদার বিষয়টি অস্বীকার করেন।

