গৌরনদী (বরিশাল) প্রতিনিধি
বরিশালের গৌরনদীতে বসতবাড়ীতে ঢুকে চাঁদাদাবী, হামলা ও শ্লীলতাহানির ঘটনায় ছাত্রদল নেতাসহ সাতজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ অভিযান চালিয়ে ছাত্রদল নেতাসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
শুক্রবার (২১ নভেম্বর ) সন্ধ্যায় উপজেলার পৃথক এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- টরকীর চর গ্রামের মৃত ইউসুফ হাওলাদারের ছেলে শওকত হোসেন এবং লাখেরাজ কসবা গ্রামের মিজান আকনের ছেলে ও পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম-আহবায়ক মেহেদী আকন।
টরকীর চর গ্রামের আজিজুল হকের স্ত্রী মামলার বাদী ছালমা আক্তার অভিযোগ করে বলেন, আমার স্বামীর ওয়ারিশসূত্রে পাওয়া সম্পত্তির ওপর দালান নির্মান কাজ শুরু করলে চাঁদা দাবী করে মেহেদী ও তার সহযোগীরা।
পরবর্তীতে মিষ্টি খাওয়ার কথা বলে ১০ হাজার টাকা চাঁদা নেয়। শুক্রবার (২১ নভেম্বর) ফের নির্মান কাজ শুরু করলে বেলা এগারটার দিকে শওকত ও মেহেদী আকন তাদের সহযোগীদের নিয়ে আমার বাড়ীতে এসে পাঁচ লাখ টাকা দাবী করে। এসময় আমি তাদেরকে বলি যে, ইতিপূর্বে দশ হাজার টাকা দিয়েছি। এখন কেন চাঁদার টাকা দেবো। তখন তারা বলেন যে, আমরা আগে মিষ্টি খাওয়ার টাকা নিছি এখন আমাদেরকে চাঁদার টাকা দিতে হবে। আমি চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকার করায় আমাকে এলোপাথারী ভাবে মারধর করে স্বর্নালংকার নিয়া যায়।
এসময় আমাকে রক্ষায় আমার দুই জা এগিয়ে আসলে তাদেরকে পিটিয়ে গুরুত্বর আহত এবং এক জায়ের শ্লীলতাহানী ঘটানো হয়। আমরা ৯৯৯ নাম্বারে ফোন করলে ঘটনাস্থলে পুলিশ আসেন। এসময় চাঁদাবাজরা পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে আমরা পুলিশের সহায়তা নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নেই।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ছাত্রদল নেতা মেহেদী আকন জানিয়েছেন, চাঁদাদাবীর ঘটনা সঠিক নয়। আমাকে ডেকে নিয়ে মারধর করে রক্তাক্ত জখম করা হয়েছে। আমাকে মারধরের বিষয়টি ধামাচাপা দিতে উল্টো আমার বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে।

