তাপস কুমার মজুমদার, স্টাফ রিপোর্টার, ভোলা
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষকরা বেতন গ্রেড বাড়ানোর জন্য দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছেন।
তাদের দাবি ১১তম গ্রেড, সেটির সাথে আমরা সহমত পোষণ করি। মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে যে বেতন কমিশন গঠিত হয়েছে সেখানেও আমরা এটা লিখেছি এবং অনবরত যোগাযোগ বহাল রাখছি। নন-অফিসিয়াললি কথাবার্তার মাধ্যমে জানতে পেরেছি শিক্ষকদের ১১তম গ্রেডের দাবি বাস্তবায়িত হবে।
যেখানে শিক্ষকদের দাবিকে আমরা নিজেদের দাবি হিসেবে গ্রহন করছি এবং আমরা তাদের পক্ষে কাজ করছি। আমরা আশ্বস্ত এই দাবি বাস্তবায়িত হবে। রবিবার (৩০নভেম্বর) ভোলার মনপুরা উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, আমি আশা করি শিক্ষকরা তাদের কর্মসূচি স্থগিত করবেন। কারন সামনে বার্ষিক পরীক্ষা, সেই পরীক্ষায় ছাত্রদের স্বার্থকে হুমকির মুখে ফালানো ঠিক না। আমি জানতে পেরেছি ১১টি শিক্ষক সংগঠন পরীক্ষা সামনে রেখে আন্দোলন স্থগিত করেছেন।
এর বাইরে আরো দুই একটি সংগঠন এখনো এরকম ঘোষণা দেয়নি। আমি আশা করবো তারাও অন্যদের দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে একই পথে আসবে। তারা আমাদের পরীক্ষাকে বাঁধাগ্রস্ত করবেন না। আমি আশা করবো বছরের শেষ পরীক্ষায় যাতে শিক্ষা কার্যক্রম কোনো ক্রমেই বাঁধাগ্রস্ত না হয়।
কারন তাদের কাজ শিক্ষকতা করা, আর আমাদের কাজ তাদের সুযোগ সুবিদা নিশ্চিত করা। যেহেতু আমরা তাদের দাবিটা যৌক্তিক মনে করে কাজ করে যাচ্ছি এবং আশ্বস্ত হচ্ছি সেই ক্ষেত্রে তাদের কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়ার কোনো যৌক্তিকতা আছে বলে মনে করি না।
উপদেষ্টা বলেন, যে সব অঞ্চলগুলো দুর্গম সে সব অঞ্চলের শিক্ষকদের প্রণোদনা দেওয়ার জন্য বিশেষ ভাতা চালু করা হবে। কিছু অঞ্চলে ইতোমধ্যে চালু রয়েছে। যে সব অঞ্চলে চালু নেই সেগুলোও চালু করার চেষ্টা করতেছি।
এসময় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. আতিকুর রহমান, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন পরিচালক মিরাজুল ইসলাম উকিল, ভোলা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আজহারুল হক, মনপুরা উপজেলনির্বাহী করবমকর্তা মো. ফজলে রাব্বি, উপজেলা প্রথমিক শিক্ষা অফিসার মো. কামরুল হাসানসহ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রনালয়ের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

