নবধারা প্রতিনিধিঃ
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বিয়ে-শাদির ধুম পড়েছে।একটি পাড়ায় ৩/৪ টি বিয়ের খবর পাওয়া গেছে। করোনা সংক্রমণ কমে আসার পর বিয়ে শাদির এ আয়োজন বেড়েছে। এতে এলাকার জনপ্রতিনিধি ও নেতৃবৃন্দের উপর চাপ পড়ছে। তাদের প্রতিদিন ৩/৪ টা বিয়েতে অংশগ্রহণ করতে হচ্ছে। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন আসন্ন হওয়ায় বিয়ে বাড়ীতে অংশ গ্রহণ ও উপঢৌকন দেওয়া নিয়ে শীতল প্রতিযোগিতা রয়েছে।কারো কারো অবস্থা ভীষন খারাপ।তবে এ নিয়ে মুখ খুলছেন না কেউ।
টুঙ্গিপাড়া উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বিএম মাহমুদ হক বলেন, করোনাকালীন সময় সামাজিকভাবে আনন্দ উৎসবের মধ্য দিয়ে বিবাহ বন্ধ থাকায় এখন তার চাপ পড়েছে। আমি আজও ২টা বিয়েতে অংশগ্রহণ করেছি। গতকালও ২টা ছিল। যেহেতু করোনার সময় বিবাহের অনুষ্ঠান বন্ধ ছিল স্বাভাবিক ভাবে এখন তারা চাপ বাড়বে।
গিমাডাঙ্গা পূর্ব পাড়ার মনির হোসেন বলেন, আজ আমার মেয়ের বিয়ে। করোনা মহামারীর মধ্যে ই বিয়ের কথাবার্তা ঠিক হয়। যেহেতু ২৫০/৩০০ বরযাত্রী মেহমান এ অঞ্চলের বিয়েতে আসার রীতি রয়েছে, সেহেতু করোনা চলে যাবার পর এ আয়োজন।
নিকাহ রেজিস্ট্রার মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম বলেন, প্রতিদিন ২/ ৩ টা নিকাহ রেজিস্টার করতে হয়। এক্ষেত্রে একটা শেষ করেই আরেকটা বিয়ে বাড়ি যেতে হচ্ছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক পৌর কাউন্সিলর বলেন, আর বলবেন না ভাই, আয় নাই কোন। শুধু বিয়ে বাড়ী যেতে যেতেই শেস হয়ে গেলাম। কিছু বলতে ও পারি না। কি যে করি ?
বাশুড়িয়া গ্রামের নাজমুল ইসলাম মুক্ত বলেন, আজ আমার ১০ টি বিয়ের দাওয়াত রয়েছে। সব যায়গায় যাওয়া সম্ভব না হওয়ায় পরিবারের অন্য সদস্যদের পাঠিয়েছি।