দুমকি (পটুয়াখালী)প্রতিনিধি
২০২৩ সালে তৎকালীন সরকারি দলের পক্ষ থেকে ভয়ভীতি ও মানসিক চাপ প্রয়োগ করে জোরপূর্বক আওয়ামী লীগে যোগদান দেখানো হয়েছিল বলে অভিযোগ করেছেন দুমকী উপজেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি মাস্টার আবু হানিফ খান।
আজ ২৯ ডিসেম্বর (সোমবার) এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় থাকার এবং বিগত দিনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার ব্যাখ্যা প্রদান করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আবু হানিফ খান বলেন,আমি স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে জাগো দল থেকে শুরু করে আজ অবধি বিএনপির রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত।
কিন্তু ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে আওয়ামী লীগের উচ্চ মহলের নির্দেশে আমার ছেলের চাকরি ও পারিবারিক নিরাপত্তা নিয়ে চরম ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হয়। সেই চাপের মুখে আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক আমাকে আওয়ামী লীগে যোগদান দেখানো হয়েছিল।
তিনি আরও জানান, এই জোরপূর্বক রাজনৈতিক পরিবর্তনের কারণে তিনি মানসিকভাবে প্রচণ্ড ভেঙে পড়েন এবং রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে দুইবার স্ট্রোক করেন। বর্তমানে সুস্থ হয়ে তিনি তার প্রিয় সংগঠন বিএনপির হয়ে আবারও মাঠে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
আবু হানিফ খান বলেন, আমি কোনোদিন আওয়ামী লীগকে পছন্দ করিনি এবং তাদের আদর্শকে মনেপ্রাণে ঘৃণা করি। এই দুঃসময়েও দলের নেতাকর্মীরা আমার প্রতি যে সহানুভূতি দেখিয়েছেন তার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। আমি বিএনপির সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের কাছে আমার অনিচ্ছাকৃত ভুলের মার্জনা চাচ্ছি এবং জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত শহীদ জিয়ার আদর্শে অটল থাকতে চাই।
উল্লেখ্য, মাস্টার আবু হানিফ খান দীর্ঘ দিন আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের সভাপতি, দুমকী উপজেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক এবং চার দলীয় ঐক্যজোটের সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

